মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বঙ্গোপসাগরে মৎস্য গবেষণায় নিয়োজিত মৎস্য অধিদপ্তরের অত্যাধুনিক গবেষণা জাহাজ ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ (Research Vessel Meen Shandhani) -এর চলমান জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর ও আজ শনিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা জাহাজে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তি, গবেষণার অগ্রগতি এবং সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন। জাহাজটি সমুদ্রের গভীরতা, তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির গুণমান এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের ইনানি থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল গভীর সমুদ্রে ডেমারসাল সার্ভে এবং রাতে কলাতলী থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল গভীর সমুদ্রে শ্রিম্প সার্ভে পরিচালনা করা হয়। এ সময় ট্রলিং কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাক্রমে ২০ প্রজাতির মাছ এবং ১০ প্রজাতির চিংড়ি আহরণ করা হয়। ট্রল নেট সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পরিদর্শনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফ এবং আর ভি মীন সন্ধানী জাহাজের স্কিপার লে. কমান্ডার শরফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন গবেষণা তথ্য উপস্থাপন করেন।
এ পর্যন্ত আর ভি মীন সন্ধানী জাহাজ দ্বারা ৫৪টি ক্রুজ পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অঞ্চল ও গভীরতা থেকে ৪৫৯ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৩৫৩ প্রজাতির মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ৩০ প্রজাতির হাঙর ও হাউস, ২৭ প্রজাতির কাঁকড়া, ৩ প্রজাতির লবস্টার, ১৪ প্রজাতির সেফালোপোড এবং ৬ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ।
জাহাজটি বর্তমানে শ্রিম্প সার্ভে (১০-১০০ মিটার), ডেমারসাল সার্ভে (১০-২০০ মিটার) এবং পেলাজিক সার্ভে (১০-২০০ মিটার) কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এফপি/রাজ