নেত্রকোনা জেলার ১০টি থানার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা হলো কেন্দুয়া থানা। থানা মানেই টাকার মেশিন, টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না, এমন ধারণা সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের। তবে জনগণের সেই আদিকালের ধারণা এবার পাল্টে দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান। এই থানায় সেবা নিতে আসা জনসাধারণ কোনো টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।
এই থানার সকল পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টে গেছে, ঠিক তেমনি থানার চিত্রও বদলে গেছে। এতে করে আগের তুলনায় এই থানায় সেবার মানও বেড়েছে।
এই থানার মূল ভবনের রং তুলির আঁচড় আর থানা চত্বরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করায় এই থানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে এই থানার সকল পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমানের সৃজনশীলতায় বদলে গেছে এই থানার আদি চিত্র।
এদিকে জেলার কেন্দুয়া থানার সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ জনগণের মুখে শোনা যায়, ওসি মিজানুর রহমান এই থানায় যোগদানের পর থেকেই তার কাজের প্রতি সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে কেন্দুয়া থানার পুলিশ হয়ে উঠেছে এই উপজেলার সকল মানুষের আস্থার ঠিকানা।
এই থানার সাধারণ মানুষের মুখে আরোও শোনা যায়, ওসি মিজানুর রহমান এই থানায় যোগদানের পর থেকেই মানবিক ও জনবান্ধব একজন সাহসী পুলিশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমার কোনো চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকেই আমি আমার সবোর্চ্চটা দিয়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানবিক ও জনবান্ধব একজন পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে থাকার সর্বদায় কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উপজেলার যে কোনো অপরাধ দমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদায় সজাগ রয়েছি। তিনি আরোও বলেন, নেত্রকোনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম স্যারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি।
এফপি/রাজ