যশোরের কেশবপুর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অবাধে গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা ও জনসচেতনতার অভাবে এই বিপজ্জনক প্রক্রিয়া চলমান থাকায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জবাই করা পশুর কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কি না, সে সম্পর্কে ক্রেতা বা বিক্রেতা কারোরই ধারণা না থাকায় সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন এবং অ্যানথ্রাক্স বা অন্যান্য জুনোটিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে কেশবপুর পৌর পশুহাটে কসাইদের অসুস্থ গরু ক্রয় করতে দেখা গেলেও, কসাইরা পরে দাবি করেন পৌরসভার আপত্তিতে ঐ গরু জবাই করা হয়নি। তবে সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে কেশবপুর পৌর পশুহাটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, পশু হাটের গরু ও ছাগল একই জায়গায় জবাই করায় সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে অনেকের গোশত কিনতে বা খেতে অনিহা প্রকাশ করছেন।
আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ ও প্রশাসনের হলেও তাদের কোনো কার্যকর তৎপরতা নেই। এ বিষয়ে পৌরসভার সেনেটরি ইন্সপেক্টর সুজয় কুমার বলেন, গত ৫ আগস্ট এর পূর্বে ছাগল বা গরু জবাই করার সময় পরীক্ষা করা হতো। ৫ তারিখের পর থেকে এ পর্যন্ত তা আর কার্যকর নেই।
অন্যদিকে, কেশবপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার অলোকেশ সরকার বলেন, এখন কোনো পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না, তবে গত মাসিক মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি আগামী মাসিক মিটিংয়ে এটা কার্যকর হবে। কর্তৃপক্ষের এই বিলম্বিত আশ্বাস জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট নয় জনস্বাস্থ্যের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভেটেরিনারি সার্জন দ্বারা পশু জবাইয়ের পূর্বে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করা এবং বাজারের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এফপি/অ