চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার দেওয়ানহাট বাজার সংলগ্ন সড়ক প্রতিদিনই তীব্র যানজটে অচল হয়ে পড়ছে। সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকান গড়ে ওঠায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও সাধারণ পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্ট অফিস মোড় থেকে বাজার মসজিদ ফটক পর্যন্ত প্রায় ২০টির মতো অস্থায়ী দোকান বসেছে। পানের দোকান, আখের রস, কাপড়, ফলসহ নানা ধরনের ভ্যানভিত্তিক দোকান এসব স্থায়ী দখলদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসা চালাচ্ছে। এতে রাস্তায় দুই দিক থেকেই চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পথচারীদের অভিযোগ, মাত্র দুই মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে ২০ মিনিট। কাছাকাছি চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় স্কুল ছুটির সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এক স্কুলছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পরীক্ষার দিনও যানজটের কারণে আটকে পড়তে হয়। সময়মতো স্কুলে পৌঁছানো যায় না।”
স্থানীয় দোকানদার নূর আলম স্বীকার করেন যে, সড়ক দখল করে ব্যবসা চালানোয় ভোগান্তি হচ্ছে। তবে তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন হাসিল (টাকা) দিয়ে পৌরসভার কর্মচারীদের অনুমতিতেই তারা ব্যবসা করছেন। পূর্বের ইজারাদারদের কাছেও দোকানভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হতো, কিন্তু বর্তমানে নতুন ইজারাদার সরাসরি টাকা নিচ্ছে, অথচ কোনো রসিদ প্রদান করছে না।
রিকশা ও সিএনজি চালকেরা জানান, রাস্তায় অবৈধ দোকান থাকার কারণে যানবাহন চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে যাত্রীদের অসন্তোষের মুখে পড়তে হয় তাদেরকেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, যানজটের কারণে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে, যা অনেক সময় জীবন-ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে পৌরসচিব রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পৌর প্রশাসনের নীরব ভূমিকাই এ অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী।
দেওয়ানহাট এলাকার সাধারণ মানুষ অবিলম্বে সড়ক দখলমুক্ত ও বিকল্প বাজার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে শিগগিরই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
এফপি/অআ