কফি কেবল এক কাপ পানীয় নয়। বরং আমাদের ভোরের ঘুম ভাঙানোর সঙ্গী, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আড্ডার উপলক্ষ, কিংবা নতুন কিছুর শুরু। রাজধানীর রাস্তা ধরে হাঁটলে দুই পাশে দেখা যায় অসংখ্য কফিশপ। এ দৃশ্য দেখে বোঝা যায়, কফির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা বেশ গভীর।
তবে আজ কেন কফি নিয়ে এত কথা? কারণ যারা কফি ভালোবাসেন তাদের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ। কারণ আজ কফি দিবস। যদিও কফি পান করতে কোনো নির্দিষ্ট দিন লাগে না। তবুও আন্তর্জাতিক কফি দিবসে কফিপ্রেমীদের একটু বিশেষ হতেই পারে।
কফি দিবস পালন করতে কী করতে হবে? সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এক কাপ মজাদার কফি পান করা। কালো কফি দুধ-চিনি দিয়ে পান করা, অথবা লাটে, আমেরিকানো, ক্যাপুচিনো যা খুশি তাই।
আজ ভিন্ন কোনো দেশের কফির স্বাদও নিতে পারেন। যেমন, তুর্কি কফি (ইব্রিক পাত্রে), ভিয়েতনামিজ কফি (কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে), কিংবা আইরিশ কফি। এসব কফির ভিন্ন স্বাদ বিশেষ অভিজ্ঞতা এনে দেবে।
ফ্রেঞ্চ প্রেস, মকা পট, কেমেক্স, অ্যারোপ্রেস যে পদ্ধতিই বেছে নেন না কেন প্রতিবার ভিন্ন স্বাদ পাবেন।
কফি দিবসে কফির ইতিহাসটা সংক্ষেপে জেনে নিতে পারি। বলা হয়, কফির জন্ম ইথিওপিয়ায়। প্রচলিত আছে, নবম শতকে এক রাখাল লক্ষ্য করেছিল, তার ছাগল কফির বীজ খেয়ে বেশ চনমনে হয়ে যায়।
১৫শ শতকে কফি আরবে জনপ্রিয় হয়। তারপর ছড়িয়ে পড়ে এশিয়া, ইউরোপ হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত।
আধুনিক কফি সংস্কৃতির সূচনা হয় মাত্র পঞ্চাশ বছর আগে, যখন থার্ড ওয়েভ কফি শপ আসতে শুরু করে।
আন্তর্জাতিক কফি দিবস প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয় ২০১৫ সালে ইতালির মিলানে। মূলত কফি চাষিদের দুর্দশা তুলে ধরতে এবং ন্যায্য বাণিজ্যের প্রচারে দিবসটির প্রচলন হয়।
বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে কফি দিবস পালিত হলেও সবচেয়ে প্রচলিত তারিখ হলো ১ অক্টোবর।
তাই আজ যখন এক কাপ কফি হাতে নেবেন। তখন স্বাদটাকেও ভিন্নভাবে উপভোগের চেষ্টা করুন। আর ভাবুন, কফি কীভাবে ইথিওপিয়ার পাহাড় থেকে শুরু করে আপনার টেবিলে এসে পৌঁছাল।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, আজ আনন্দ নিয়ে কফি পান করুন! উপভোগ করুন প্রিয় কফির স্বাদ।
এফপি/এমআই