শিরোনাম: |
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক ঢাকা—বরিশাল মহাসড়ক পরিণত হয়েছে দুর্ভোগের জনপথে। বরিশালের গৌরনদী অংশজুড়ে খানাখন্দ ও অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির সময় কাদা, আর রোদ উঠলেই উড়ছে ধুলার ঝড়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়সারা সংস্কারে ক্ষোভে ফুঁসছে যাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, টরকী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাটাজোর পর্যন্ত মহাসড়কের গর্ত মেরামতে পিচ—পাথরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ইটের সুরকি ও বালু। এতে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় সুরকি উড়ে আশপাশের দোকানপাট, যাত্রী ও পথচারীদের উপর ঝরে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষায় টরকী, গৌরনদী মাহিলাড়া, বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় গর্ত সৃষ্টি হলে অস্থায়ীভাবে ইট—বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। কিন্তু বর্ষা শেষ হলেও এখনো একইভাবে কাজ চালাচ্ছে সওজ। এর ফলে ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে দোকানপাট, ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
টরকী ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দোকানে বসে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। ধুলায় ক্রেতা টেকেনা, ব্যবসাও মার খাচ্ছে। যাত্রীরা জানান, নাক—মুখে রুমাল বা মাক্স বেঁধে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ—সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন খান বলেন, সরবরাহকারীরা এখনো পর্যাপ্ত পিচ—পাথর দিতে পারছে না। পূজায় গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত ইট—বালু দিয়েই গর্ত ভরাট করা হচ্ছে।
যাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রুত টেকসই সংস্কারকাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ককে সচল ও নিরাপদ করতে হবে।
এফপি/অআ