নেপালের পর্যটন খাত দুই দিনের Gen Z বিক্ষোভে বড় ধাক্কা খেয়েছে। হোটেল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, যাতায়াত ব্যাহত হওয়া এবং ব্যাপক বুকিং বাতিলের কারণে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন নেপালি রুপি। হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের (HAN) প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুই ডজনের বেশি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী কাঠমান্ডুর হিলটন হোটেল এককভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি প্রায় ৮ বিলিয়ন রুপির বেশি। শুধু কাঠমান্ডুই নয়, পোখারা, ভৈরহাওয়া, বিরাটনগর ও ধানগঢীর মতো পর্যটনকেন্দ্রও বিক্ষোভের অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, অস্থিরতায় হাজারো কর্মী চাকরিহীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। পর্যটন মৌসুম শুরুর ঠিক আগে এমন পরিস্থিতি উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে।
তবে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক রাজ জোশী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, “অতীতেও আমরা বড় ধাক্কা সামলে দাঁড়িয়েছি- ২০১৫ সালের ভূমিকম্প, কোভিড-১৯ মহামারি। এবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।” তিনি জানান, পুনরুদ্ধারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি আছে।
অর্থনীতিবিদ ড. সামির খাতিওয়াড়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বিশ্ববাসীর কাছে নেপালের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা ও বর্তমানে অবস্থানরত প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি পর্যটকের নিরাপদ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা জরুরি।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের সভাপতি বিনায়ক শাহ মনে করেন, খাত পুনরুজ্জীবনে সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ট্রেকিং এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল ও মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনও একই আহ্বান জানিয়েছে।
পাহাড়-পর্বত, হিমালয় ট্রেকিং, বৌদ্ধ ও হিন্দু ঐতিহ্য- সব মিলিয়ে নেপাল প্রতিবছর লাখো পর্যটক আকর্ষণ করে। এ খাত দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মৌসুমের ঠিক আগে এই ক্ষতি দেশটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এফপি/রাজ