ওয়াশিংটন ডিসি কর্তৃপক্ষ রাজধানীতে ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, এই মোতায়েন অসাংবিধানিক এবং একাধিক ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে। আদালতের কাছে মোতায়েন বন্ধে অবিলম্বে আদেশ জারির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিসির অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়ালব এক বিবৃতিতে বলেন, “আমেরিকান নাগরিকদের ওপর নিজেদের শহরে সশস্ত্র সেনাদের পুলিশি দায়িত্ব দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ও মৌলিক স্বাধীনতার লঙ্ঘন।”
গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজধানীতে প্রায় ২,৩০০ ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েনের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে সরাসরি ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নেওয়া হয়েছে।
তবে মামলায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ডিসির ‘Home Rule Act’ এবং ‘Posse Comitatus Act’ লঙ্ঘন করেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ডিসির অনুমতি ছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে রাজধানী কার্যত সামরিক দখলের আওতায় আনা হয়েছে।
মেয়র মুরিয়েল বাওসারসহ স্থানীয় নেতারা শুরু থেকেই এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, সামরিক উপস্থিতি নাগরিকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং শহরের স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসায়িক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নির্বাহী ক্ষমতার অস্বাভাবিক সম্প্রসারণ, যা ভবিষ্যতে সেনাবাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। মামলার শুনানির পর আদালতের রায়েই নির্ধারিত হবে- রাজধানীতে সামরিক উপস্থিতি বহাল থাকবে নাকি তা সরিয়ে নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ