রাজশাহীর তানোর পৌর শহরের মহানগর ক্লিনিক নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকাত সালমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ দন্ডাদেশ দেন। অভিযানে সহায়তা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদা এবং তানোর থানা পুলিশের একদল সদস্যরা।
মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারী বিধি মোতাবেক ডাক্তার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ছাড়াও প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকা সহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে গত ১৯ আগস্ট সরেজমিন পরিদর্শনে এসে তানোর পৌর শহরের মহানগর ক্লিনিক ও প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ এস,আই, এম, রাজিউল করিম। সেই সাথে গত ২৫ আগস্ট এক অফিস আদেশে পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে ঔই প্রতিষ্ঠান দুটির ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের জন্য সময় দিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। তবে, ওই নির্দেশনা না মেনে মহানগর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছিলেন। এমন অভিযোগ পেয়ে তানোরের ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকাত সালমান অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ অভিযানের সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিক চালু রাখার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও রোগীদের সেবা এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৫২ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন মালিক মনিরুল হাসান হেলাল। অন্যদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে চলে যান প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদা বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। তানোর উপজেলার স্বাস্থ্যখাতে নানাবিধ অভিযোগ সহ নিবন্ধনহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এফপি/রাজ