নওগাঁর মান্দায় এক মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকানে অতর্কিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের কুলিহার মোড়ে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বলেন, তিনি উপজেলার চকগোপাল গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রায় ২৫ বছর ধরে কুলিহার মোড়ে মোটরসাইকেল মেরামতের ব্যবসা করে আসছেন। দোকানটি ইলশাগাড়ি গ্রামের রমজান আলীর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। রমজান আলীর মৃত্যুর পর তার ছেলে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের প্রবাসী জাইদুর রহমান গংয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ শুরু হয়।
এমদাদুল হকের অভিযোগ, ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার দুপুরে জাইদুর রহমানের ভাগ্নে আলমগীর হোসেন এবং গোবিন্দপুর গ্রামের তাহেরের ছেলে তারেকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। তারা দোকান ঘেরাও করে অতর্কিতভাবে ভাঙচুর শুরু করে এবং দোকানের মূল্যবান যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়। এতে তার প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “হামলার সময় আমি দোকানে উপস্থিত ছিলাম। এসময় আমাকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি কওে তারা যা পেয়েছে, তা-ই ভেঙে তছনছ করে নিয়ে গেছে। এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে হামলা চালালেও এখন তারা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মিলন, আবুল কালাম ও আব্দুস সালামসহ আরও অনেকেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়িক স্থানে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে হামলার দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখা গেছে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে দোকানের চারপাশ ঘিরে রেখেছে এবং দফায় দফায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
এ বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফপি/রাজ