নেছারাবাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে লামিয়া আক্তার চৈতি ( ২০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঘটিকার সময় উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ড বরছাকাঠী গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ তাদের বসত ঘরের দোতালার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে জানা যায়নি। এ বিষয়ে নেছারাবাদে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
গত একবছর পূর্বে লামিয়া আক্তার চৈতির বিয়ে হয়। আলকীর হাট বটতলা এলাকায় ফরেস্ট অফিসার দেলোয়ারের ছেলে আসিফ এর সাথে। কিন্তু লেখা পড়া শেষ না হওয়ায় চৈতিকে তার শশুর বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হয়নি। চৈতি স্বরূপকাঠী সরকারি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
চৈতির মা শিরিন বেগম জানান, সকাল ৮টার দিকে চৈতিকে ঘরে রেখে ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসায় থেকে ফিরে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে দ্বিতীয়তলায় খুঁজতে উঠেন তখন মেয়েকে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন এবং বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসে। সবাই মিলে ঝুলন্ত অবস্থা হতে তাকে নিচে নামায়। পরে নেছারাবাদ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
চৈতির শশুর বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, শ্বশুর বাড়ি স্বামী সহ সবার সাথে সুসম্পর্ক ছিলো। কিন্তু কিছু দিন পূর্বে চৈতি আলকির হাট থেকে বাসায় যাওয়ার সময় ভয় পেয়েছিলো। সেই থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করতো।
তার বোন জানান, “চৈতির সাথে খারাপ জিনের আছর ছিল। এই কারণে মাঝে মধ্যে অন্য রকম আচারণ করতো। আমার মা ও চৈতির শাশুড়ি মিলে কয়েক মাস আগে এজন্য কবিরাজের চিকিৎসা করিয়েছেন। বদ জিনের কারণ থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে আত্মীয়স্বজনেরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন।”
নেছারাবাদ থানার তদন্ত অফিসার রাধেশ্যাম জানান, আমরা খবর সেখানে লোক পাঠাই এবং যতদুর জেনেছি চৈতি তার বাবার বাড়িতে দোতলায় সোয়ার রুমে আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এফপি/রাজ