বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ শতাংশ জমি থেকে মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য ৩০ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে 'তালতলী প্রেসক্লাবে' এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা এলাকার বাসিন্দা মোঃ জালাল উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, 'আমার ভাই মোঃ গিয়াসউদ্দিন উপজেলার ৪২ নং বড় নিশানবাড়ীয়া মৌজায় হাল ২০৫ নং খতিয়ানে খেপুপাড়া সাব রেজিস্ট্রী অফিসের ২৬-০৮-১৯৬৪ ইং তারিখে ২২৩৬ নং সাফ বিক্রয় কবলা রেজিষ্ট্রি লীল মূল ১.০০ একর ভূমির মালিক হইয়া বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ECRRP-২০০৭ ক্রমিক নং ০১ অনুকলে মার্চ ২০১৫ অর্থায়নে এল.জি.ই.ডি মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে 'আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র' অপশন -০৩ টাইপে ভবন নির্মানের জন্য হাল ৫৪৬৫ নং দাগে ৫৪ শতাংশ এবং ৫৪৬৮ নং দাগে ৬ শতাংশ মোট ৬০ শতাংশ জামির দখল বুজিয়ে দেয়। এরপর প্রকল্প পরিচালকের অনুমোদনে ভবন নির্মিত হয়। ভূমির উত্তর সীমানা-৫০ মিটার, দক্ষিণ সীমানা ৪৪.২ মিটার, পূর্ব সীমানা ৫১ মিটার এবং পশ্চিম সীমানা ৫২.২ মিটার, পরিসীমা ১৯৭.৪ মিটার মাত্র। মোঃ গিয়াসউদ্দিন আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মোট ৬০ শতাংশ জমির দখল বুঝিয়ে দিলেও বর্তমানে সেই জমি থেকে ৩০ শতাংশ জমি মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি ও প্রধান শিক্ষকে অবগত করলে তারা কোন পদক্ষেন নেয় নাই।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ গিয়াসউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া মেলেনি।
তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, 'বিদ্যালয়ের জমি দখলের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করব। পরবর্তীতে আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করব।'
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ জালাল বলেন, 'এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এফপি/অ