Dhaka, Sunday | 17 August 2025
         
English Edition
   
Epaper | Sunday | 17 August 2025 | English
পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের: রিজওয়ানা হাসান
পাবনা-৩ আসনে মনোনয়ন যুদ্ধ, মাঠ গরম সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা
বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিন কান্তি দে’র মৃত্যুতে প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
কিশোরগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
শিরোনাম:

ভবদহে জলে বন্দি দুর্বিষহ জীবনের শেষ কোথায়?

প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৯ পিএম  (ভিজিটর : ১৫)

প্রায় চার দশক ধরে জল বন্দি জীবন ভবদহ বিল পাড়ের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের। এই দুর্বিসহ জীবনের শেষ কোথায়? আর কতদিন এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের? এ প্রশ্ন ভুক্তভোগিদের।

প্রায় বছর জুড়েই পানির সাথে সংগ্রাম করে দিনাতিপাত করতে হয় ভবদহ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। আর বর্ষা মৌসুম আসলে এই জলযন্ত্রনা তাদের আষ্টেপৃষ্টে পেপে ধরে। বছরের পর বছর ভবদহ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস ওদের কাছে এখন চরম অবিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। সংকট উত্তরণে চার দশকে প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমডাঙ্গা খাল ও ৮১ কিলোমিটার নদী খনন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চান ভুক্তভোগিরা। টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবদহ সমস্যা সমাধানেরও স্বপ্ন দেখছেন তারা।

সম্প্রতি আকাশ বৃষ্টি ও উজানের ঢলে একদিকে যশোর ও খুলনা জেলার অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় তিনশ’ গ্রামের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন; অপরদিকে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিন বানভাসি উপজেলার কুলটিয়া, লখাইডাঙ্গা, হাটগাছা, বাজে কুলটিয়া, আমিনপুর, হাসাডাঙ্গা এলাকায় গেলে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র উঠে আসে। লখাইডাঙ্গা গ্রামের কাকলী রানী বিশ্বাস এভাবে আর জলের সাথে কতদিন বসবাস করবো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে বলেন, আর কারো কাছে জল সরানোর কথা বলবো না। বলে লাভ নেই!

আমিনপুর গ্রামের মুক্তা খাতুন জানান, গত এক মাস ধরে বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। বাধ্য হয়ে বারান্দায় রান্না করা হচ্ছে।

জানা যায়, যশোর-খুলনা জেলার ২৭ বিলের পাানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ভবদহ স্লুইচগেট প্রতিষ্ঠার পর ৮০’র দশকে ভবদহ সংলগ্ন টেকা, শ্রী, হরি নদীসহ খালগুলোতে পলি পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে থাকে। আকাশ বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ওই ৮০’র দশকের শেষ দিকে এই দুই উপজেলার মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার তিনশ’ গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। পলি অপসারণসহ পানি নিষ্কাশনে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে প্রায় ৮’শ কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং সিংহভাগ অর্থ লুটপাট হয়েছে দাবি ভুক্তভোগি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। বাধ্য হয়ে অসংখ্য পরিবার বাস্ত ত্যাগ করেছে। 

সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে কেজেডিআরপি’র (খুলনা-যশোর ড্রেনেজ রিহেবিলেশন প্রকল্প) আওতায় ২২৯ কোটি, ২০০৬ সালে ৬৯ কোটি, ২০১১ সালে ৭১ কোটি, ২০১৪ সালে ৪৪ কোটি এবং সর্বশেষ ভবদহ আমডাঙ্গা খাল খননে ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এছাড়া নদী খননে ১৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

গৃহিত প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ লুটপাট হয়েছে দাবি ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রনজিৎ বাওয়ালি বলেন, বিগত সরকারগুলো ভবদহ সংস্কারে শত, শত কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও কাজের কাজ হয়নি। সিংহভাগ অর্থ জনপ্রতিধি ও পাউবো’র (পানি উন্নয়ন বোর্ড) এক শ্রেণির দুনীতিবাজ অসাধু কর্মকর্তার পকেটে গেছে। পাউবোর যশোর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ ব্যানার্জী জানান, ভবদহ সংলগ্ন নদী-খাল খননে ১৪০ কোটি টাকার প্রস্তাবনা একনেকে ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝