ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে আগের দুই দেখায় প্রতিদ্বন্দ্বীতায় করতে পারেনি বার্সেলোনা। দুবারই তারা পরাজিত হয় ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। এবার আশা জাগালেও নিজেদের আঙিনায় ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারল না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই সমতা টানল পিএসজি। এরপর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জাল কাঁপিয়ে কাতালানদের হতাশায় ডোবাল তারা।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার রাতে অস্থায়ী ডেরা লুইস কম্পানিস অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শিরোপাধারীদের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সা। ফেরান তরেস স্বাগতিকদের এগিয়ে দেওয়ার পর সেনি মায়ুলু সমতা ফেরান লড়াইয়ে। আর ৯০তম মিনিটে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন গনসালো রামোস।
ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারল বার্সা। শেষবার তারা জিতেছিল আট বছর আগে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। স্থায়ী ঠিকানা ক্যাম্প ন্যুতে (সংস্কার কাজ চলায় বর্তমানে বন্ধ) সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে ৬-১ গোলে প্যারিসিয়ানদের উড়িয়ে দিয়েছিল দলটি।
এই জয়ে তিনে উঠে এলো পিএসজি। আরও পাঁচ দলের মতো নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জিতল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তবে গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ও রেয়াল মাদ্রিদ।
এই হারে ১৬ নম্বরে নেমে গেছে বার্সেলোনা। তাদের সমান ৩ পয়েন্ট মোট ১৩টি দলের।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচে দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি। কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইল্লা জাবারনি। দুই মিনিট পর এই সেন্টার ব্যাকই বাঁচান দলকে।তবে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সালোনা।
১৯তম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড বক্সের মধ্য দিয়ে নিখুঁত পাস দিলেন ফেরান তোরেসের কাছে, যিনি অফসাইড ফাঁদ ফাঁকি দিয়ে পিএসজির গোলকিপার লুকাস শেভালিয়েকে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন।
তবে পিএসজি সেই ধাক্কা সামলে দ্রুতই ম্যাচে ফেরে। শুরুর দিকে বার্সার প্রাধান্য থাকলেও তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় এবং ৩৮তম মিনিটে সমতা ফেরায়। নুনো মেন্দেস বাঁ দিক দিয়ে দারুণ এক দৌড়ে তিন ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে সেনি মায়ুলুকে পাস দেন, সেই পাস ধরে ঠান্ডা মাথায় গোল করেছেন ১৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
৮৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা লি কাং-ইনের শট পোস্টে লাগে। শেষ পর্যন্ত ৯০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে পিএসজি জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায়। আশরাফ হাকিমির ক্রস থেকে কাছ থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন রামোস।
এফপি/অআ