শরীরচর্চা বা নিয়মিত জিমে যান, এমন অনেকেই বলে থাকেন যে প্রতিদিন কাঁচা ডিম খাওয়া নাকি ভালো। অনেকে খেয়েও থাকেন। ডিম এমনিতেই সুষম খাদ্য। একটি ডিম থেকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ডি প্রচুর পরিমাণে থাকে ডিমে। এ ছাড়া থাকে কোলিন। লিভারের জন্য এই খনিজ খুব ভালো। ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম—ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর।
কিন্তু কথা হচ্ছে, সিদ্ধ ডিম খাওয়া তো পুষ্টিকর, কিন্তু কাঁচা ডিম?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। চিকিৎসকরা জানান, কাঁচা ডিমে সালমোনেল্লার মতো ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাকটেরিয়া পেটে গেলেই বিষক্রিয়া হবে।
আরো একটি বিষয় হচ্ছে, ডিম কত দিন ধরে রেখে দেওয়া হয়েছে, তা আপনার জানা নেই।
ভেতরে ভেতরে পরজীবী বাসা বেঁধেছে কি না তা-ও অজানা। উচ্চ তাপমাত্রায় সিদ্ধ করার সময়ে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া-পরজীবী নষ্ট হয়ে যায়। তাই সিদ্ধ ডিম খেলে ভয় থাকে না।
প্রতিদিন কাঁচা ডিম খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। তা ছাড়া পেটে সংক্রমণও হতে পারে। জ্বর, বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেবে। শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীদের কাঁচা ডিম খাওয়া একেবারেই অনুচিত। শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখবিসুখ থাকলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে কাঁচা ডিম খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাঁচা ডিমে অ্যাভিডিন নামে এক রকম উপাদান থাকে, যা ভিটামিনের কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই কাঁচা ডিম খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজগুলোর কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে পারে।
ডিম অর্ধ সিদ্ধ করে খাওয়াও ঠিক নয়। সেখানেও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই ডিম পুরো সিদ্ধ করে খাওয়াই ভালো। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে এক থেকে দুটি ডিম খেতে পারেন। তবে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে ডিমের পরিমাণ কমাতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই ভালো।
এফপি/অআ