বাংলাদেশের মুখরোচক খাবার মুড়ির একটি বড় চালান যাচ্ছে ফ্রান্সে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেড় হাজার কেজি মুড়িসহ নানা শুকনো খাদ্যপণ্য জাহাজে তোলা হয়েছে। এ চালানে আরও রয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ কেজি চিনিগুঁড়া চাল, প্রায় এক হাজার কেজি শুকনো শিম, সমপরিমাণ শুকনা মরিচ, সঙ্গে গোটা ধনিয়া ও তেজপাতা। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ চালান ফ্রান্সে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেড এ রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। পতেঙ্গার ইনকনট্রেড কনটেইনার ডিপো থেকে লোড করার পর কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয়। রপ্তানিকারকের প্যাকেজিং ইউনিটে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষ লেবেল ও কার্টনে মুড়ি, চাল, মরিচ ও শিমসহ সব পণ্য যত্নের সঙ্গে মোড়কজাত করা হয়েছে। শিপমেন্টের সময়সীমা মেনে চলতে কর্মীরাও দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন।
শুকনো খাবার রপ্তানির দায়িত্বে থাকা সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান স্পিড লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য, পোড়ামাটি ও কুটির শিল্পসামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। এর আগে তারা পোড়ামাটির পণ্য ও সবজি রপ্তানি করেছিলেন। এবারের চালানে মুড়ি ও চাল যুক্ত হয়েছে, যা মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান মিয়া বলেন, ফ্রান্সে ড্রাই ফুড রপ্তানি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে গুণগতমান ও প্যাকেজিংয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হয়েছে। পণ্যের মোড়কে যেন বাতাস না থাকে সেভাবেই প্যাকেজিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সবকিছু ঠিক থাকলে নিয়মিতভাবে শুকনো খাবার ও দেশি মুখরোচক পণ্য ইউরোপে রপ্তানি করতে চাই আমরা।”
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশের চাল, মুড়ি, চানাচুর, চিড়া ও নানা ধরনের শুকনো খাদ্যপণ্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। পাশাপাশি কিছু ফ্রোজেন পণ্য কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও রপ্তানি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ায় এ খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি আরও বলেন, “আমরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে মানসম্মত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে বদ্ধপরিকর। এ রপ্তানি যেমন দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক, তেমনি প্রবাসীদের জন্যও গর্বের।”
এফপি/অআ