কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কৃষি নির্ভর রইক্ষং গ্রাম সবজির ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। সীমান্ত এলাকা রইক্ষং গ্রাম এখন টাটকা সবজির জন্য বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে। এই গ্রামের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন ভোর ৫ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত বসে কাঁচা সবজির হাট, যেখানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা ভিড়জমান করে।
সদ্য তোলা বেগুন, শসা, জিংঙ্গা, শিম, তিতকরলা, টমেটো, লাউ, কুমড়া, শাকসহ নানা মৌসুমি সবজি সাজানো থাকে সারিসারি। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ হলো কম দামে টাটকা সবজি ক্রয়ের সুযোগ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই হাট তাদের জীবিকার প্রধান ভরসা। মাঠ থেকে সবজি তুলে সরাসরি গ্রামের বাজারে বিক্রি করতে পারায় তারা ন্যায্য মূল্য পান। একই সঙ্গে কম দামে সবজি পেয়ে ক্রেতারা ও সন্তুষ্ট থাকেন।
পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এখানে ছুটে এসে সবজি কিনে নিয়ে যান কক্সবাজার শহরসহ আশপাশের হাট বাজারে। ফলে শুধু রইক্ষং নয়, পুরো জেলায় টাটকা সবজির জোগান নিশ্চিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম জানান,টেকনাফের হোয়াইক্যং ৩নং ওয়ার্ড রইক্ষংএলাকার প্রতিটি মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকাহ নির্বাহ করে। বিভিন্ন তরিতরকারি টাটকা সবজির চাষ করে এই এলাকার মানুষ অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করছে। প্রতিদিন ভোর থেকে রইক্ষং বাজারে সবজির হাটসর গরম থাকে। এই এলাকার কৃষকদের যদি সরকারি ভাবে সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক ভাবে কোন সাপোর্ট দেয় আশাকরি দেশের কৃষিখাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান,হোয়াইক্যংয়ে কাচাঁ সবজি অনেক ভালো হয় ,রইক্ষংয়ে কৃষকরা কৃষিকাজে অনেক অভিজ্ঞ। ঐ গ্রামের বেশির ভাগই মানুষ কৃষিকাজ করে। রইক্ষং পাহাড়ি এলাকায় সবজি ভালোই ফলন হয়। সরকারি যে প্রনোদনা আসে সেটিপুরো টেকনাফের ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য বরাদ্দ হয়। আমরা চেষ্টা করেছি রইক্ষং এলাকার কৃষকদের পর্যায়ক্রমে সরকারি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসতে। সামনে উপজেলায় সবজির বীজ প্রণোদনা আওতায় ৩১০ জন কৃষক কে আমরা সবজির বীজ প্রণোদনা দিব।
রইক্ষং এলাকার কৃষক যদি এই প্রণোদনা থেকে বাদ পড়ে আগামীতে আমরা পর্যায় ক্রমে সবাই কে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসব। রইক্ষংএলাকার যে পানির সংকট ঐ বিষয়টা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এখানে একটি সমস্যা গভীর নলকূপ স্থাপন পাটর থাকার কারনে অনুমতি নেই। তারপর ওআমরা প্রপোজাল পাঠাচ্ছি সামনে আমরা প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কৃষি জমি যাতে বৃদ্ধি পায় সেইজন্য পানি সেচের আওতায় আনার জন্য কাজ করছি।
এফপি/অআ