কুমিল্লার মুরাদনগরে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
ভুক্তভোগী নারী গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের নিজ বাবার বাড়িতে ছিলেন। স্বামীর বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী ঘরের দরজায় গিয়ে তাকে খুলতে বলেন। অস্বীকৃতি জানালে তিনি জোর করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে যায়।
পরদিন (২৭ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগের পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং ২৯ জুন সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের অভিযোগে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফজর আলী নিজেকে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন এবং এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এলাকাবাসী ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এফপি/রাজ