মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আজগর আলী (২৪) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত বাসের ১১ যাত্রী।
সোমবার (০৭ জুলাই) বেলা পৌনে একটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আজগর আলী নোয়াখালী জেলা কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। সে দুর্ঘটনাকবলিত বাসের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ভাবে ১১ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, হাসান (২৬), শাহ জালাল (৬০), আহসান উল্লাহ (৫৫), জাহিদ (৩১), সায়মন (১৪), শাহীন (৩৫), সোহাগ (৩০), সগিরুল (৫০),আবু সাইদ (৫৫), লিমন (২৪), হালিমা (৫২)। আহতদের মধ্যে সায়মন, সোহাগ ও হাসান কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাক আনারপুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এসময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী দ্রুতগতির জোনাকি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চালক ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে বাসটিকে বাম দিকে চাপানোর চেষ্টা করলে সেটি রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ভেতরে আটকা পড়ে কয়েকজন। এ ঘটনায় বাসের হেলপার আজগর আলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদ করিম বলেন, ‘এই ঘটনায় আহত ৮ জনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন সায়মন, সোহাগ ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন হয়েছে। নিহতের লাশ বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
এফপি/রাজ