একটি মিমাংসা যোগ্য পারিবারিক বিরোধে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দলীয় পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
বুধবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২১ জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন-এর সামনে স্ব শরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।
যুবদলের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিপলু খান পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তিযোগ্য একটি ইস্যুতে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করেন এবং বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিকে তার রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে ভয়ভীতি ও চাপে রাখার চেষ্টা করেন। এই আচরণ সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিকভাবে শিপলুকে তলব করা হয়।
তবে নোটিশে নির্দিষ্ট করে ঘটনার স্থান, তারিখ বা ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ করা হয়নি, যা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এলাকাবাসীর একাংশের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।
যুবদলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শিপলু খান দেশের পটপরিবর্তনের পরই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নৈতিক ও আদর্শিক আচরণে নিয়োজিত রাখতে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাকে প্রকাশ্যে জবাবদিহির আওতায় আনা হলো। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি সতর্ক বার্তা—যাতে দলীয় পরিচয়ে কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থে অন্যকে হয়রানি না করতে পারে।
তবে শিপলু খান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান।
এফপি/রাজ