জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন ও জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের চৌরাস্তায় জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
জুলাই সনদ কেবল একটি দলের দলিল নয়, এটি গোটা জাতির মুক্তির দলিল। তাই দ্রুততম সময়ে এর বাস্তবায়ন জরুরি।
ঠাকুরগাঁওয়ের জুলাই আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক রায়হান ইসলাম অপু বলেন, জুলাই সনদ কেবল একটি দলের দলিল নয়, এটি গোটা জাতির মুক্তির দলিল। তাই দ্রুততম সময়ে এর বাস্তবায়ন জরুরি।
“জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে যদি কৃত্রিম সরকার দালালি করে, আমরা জুলাই যোদ্ধারা তা মেনে নেব না। গত এক বছরে আমরা অনেক নাটক দেখেছি, আর এই নাটক দেখতে চাই না—এর অবসান চাই।”
তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের জুলাই যোদ্ধা নির্বাচন কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা দায়িত্বশীল জায়গায় আছেন। আশা করবো দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। আপনাদের অবহেলার কারণে আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধা নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অনেক ভুয়া যোদ্ধা এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। আপনারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। দ্রুততম সময়ে আমরা এর প্রতিকার চাই।”
জুলাই আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়া আরেক যোদ্ধা লামিম বলেন, “আমি জুলাই আন্দোলনে চোখে গুলি খেয়েছি। বারবার উন্নত চিকিৎসার নামে আমাকে মিথ্যে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে এনসিপি নেতাকর্মীরা জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এসে আমাকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরে না। আমি রাতে ঘুমাতে পারি না, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, ঝাপসা দেখি। আমরা চাই, আহত জুলাই যোদ্ধাদের দ্রুততম সময়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। যাতে আর উন্নত চিকিৎসার নামে মিথ্যে আশ্বাস না দেওয়া হয়।”
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জুলাই সনদের বাস্তবায়নের দাবি জানানো হলেও কোনো সরকারই এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। ফলে জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের অবহেলিত ও বঞ্চিত মনে করছেন।
সতর্ক করে বক্তারা আরও বলেন, সরকার যদি শিগগিরই জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না করে, তবে সারাদেশে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে এবং ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এফপি/এমআই