কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দূর্জয় চৌধুরী (২৫) এর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চকরিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা দায়রা ও জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ মো. মামুনুর রশিদ।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র দাশ।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- চকরিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম, এএসআই হানিফ মিয়া, কনস্টেবল যথাক্রমে- মহিউদ্দিন ও ইসরাক হোসেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ, নৈশ প্রহরী নুর মোহাম্মদ সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২২ আগস্ট চকরিয়া থানা হাজতে থেকে দূর্জয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবা কমল চৌধুরী ২৬ আগস্ট ওই ৯ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানায় তা মামলা হিসেবে রুজু হয়নি। মামলা রুজু না করায় বাধ্য হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে ফৌজদারি এজাহার দায়ের করা হয়। পরে, দায়েরকৃত এজাহারের সূত্র ধরে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফউদ্দীন শাহীনকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাটি দায়ের করে আদালতে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্জয়ের বাবা অভিযোগ করেছেন, আমার সন্তানকে হত্যার ১০-১২ দিন আগে থেকে তাকে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রাখা হয়েছিল এবং হত্যার আগে তাকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। ২১ আগস্ট দূর্জয়কে বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও নগদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরদিন ২২ আগস্ট (শুক্রবার) থানা হাজত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল আনোয়ার জানান, এ মুহূর্তে তাদের কাছে আদালতের নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফপি/রাজ