মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বায়জিদ হোসেন (৮) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছোট বসুরচর নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বায়জিদ হোসেন উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের চর শিমুলিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার নূরানী শাখার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মাদ্রাসাটির পরিচালক মুফতি আবু হানিফ বলেন, জুমার নামাজের আগ থেকেই আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পাওয়া গেলে বিষয়টি আমরা তার বাড়িতে জানাই। জুমার নামাজের পর ওই ছাত্রের বাড়ি থেকে আমাদের জানানো হয় সে বাড়িতে যায়নি। তারপর আমরা আবারো খোঁজাখুঁজি শুরু করি।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মাদ্রাসাটির দ্বিতীয় তলায় নির্মাণাধীন একটি অংশে বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ করা অবস্থায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের মা রূপালী বেগম বলেন, আমার ছেলে কখনো মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসতো না। দুপুরে মাদ্রাসা আমাকে ফোন করে জানানো হয় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনটার দিকে আবার খবর পেলাম তার লাশ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের পরে জানাবো।
এফপি/রাজ