কক্সবাজারে স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিরেল চাকমাকে জনতার সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ। বিরেল চাকমা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানান জেলা পুলিশ।
গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, নিহত রঞ্জন চাকমার মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আটক বিরেল চাকমাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের সকলের বাড়ি রাঙ্গামাটি।
মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিরেল চাকমা (৫৫) এর সাথে নিহতের স্ত্রী পূর্ব পরিচিত। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে গত ৩ দিন আগে তার স্বামী রঞ্জন চাকমা কক্সবাজার এসে বিরেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল এলাকায় জসিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য তারা উক্ত বাসায় অবস্থান করছিলেন। বিরেল চাকমা কয়েকদিন থেকে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। রাজি না হওয়ায় বিরেল চাকমা ক্ষুব্ধ হয়। শনিবার দিবাগত রাতে উক্ত বাসায় বিরেল চাকমা ও রঞ্জন চাকমা মিলে মদ্যপান করে। বিরেল চাকমা মাতাল অবস্থায় রঞ্জন চাকমার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বললে রঞ্জন চাকমা ও বিরেল চাকমা’র বাকবিতন্ডা হয় এবং একপর্যায়ে বিরেল চাকমা ধারলো দা দিয়ে রঞ্জন চাকমার মাথায় সজোরে কোপ মেরে হত্যা করে। তারপর বিরেল চাকমা ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় চিৎকার দিয়ে সাহায্য চাইলে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়ে আসামি বিরেল চাকমাকে কাপড়চোপড় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধৃত করে।
আটক আসামি বিরেল চাকমার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এফপি/রাজ