পাঁচ আগষ্ট বিপ্লবের পর থেকেই অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো আইসিটি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়েও বিভিন্নভাবে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়েছে। সরকারী অফিসের বিভিন্ন তথ্য পাচার করে আসছে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সিন্ডিকেট মো. চাঁন মিয়া (ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর)। এই অরাজকতা সৃষ্টির নেপথ্যে কাজ করছে অভিযোগ উঠলেও টনক নড়েনি কারো।
আইসিটি অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পলকের দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময়ের রাজত্বকালে তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রচুর নেতাকর্মীকে বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন। এছাড়া আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় শুধু নাটোর ও সিংড়ার ক্যাডারই আছে প্রায় শতাধিক। ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম। দায়িত্ব নিয়েই তিনি এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিলে ভীত হয়ে পড়ে ওই চক্রের সুবিধাভোগীরা।
বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্ঠার বিশেষ সহকারী ফজেয় আহমদ তৈয়্যব তাঁর সম্পর্কে এবং আইসিটির সম্পর্কে গোপনে তথ্য পাচার করছে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে। এরপর আইসিট’র বিভিন্ন তথ্য পাচারে নিরলসভাবে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের দপ্তরের মো. চাঁন মিয়া, ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। দীর্ঘ দিন সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দপ্তরে , ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর, হিসেবে কর্মরত ছিল সেসময় তাঁর বিভিন্ন অনিয়ম ও মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের আস্থাভাজন হওয়ায় বিভিন্ন টেন্ডার বাণিজ্য নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জরিত ছিল বলে আইসিটি অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, শুধু বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেই আউটসোর্সিং ও কনসালটেন্ট এর নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জরিত ছিল মো. চাঁন মিয়ার আর্থিকের একটা বড় অংশ যেতো পলকের স্ত্রীর কাছে। গোপন সূত্র বলছে মো. চাঁন মিয়া ছিল পলকের স্ত্রীর ডান হাত। অফিসের বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত টাকা গোপনে পলকের বাসায় পৌছে দিতো। অধিদপ্তরের গোপন সূত্র আরও বলছে যে, প্রতিনিয়ত পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার সাথে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। আরও জানা যাচ্ছে পলকের মাধ্যেমে কিছু টেন্ডার তাঁর নিজেস্ব পরিচিত কোম্পানিকে নিয়ে দিয়েছিল (চাঁন মিয়া) তাঁর একটা অংশের (%) এর জন্যে প্রায় সময় পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা চায় চাঁন মিয়ার নিকট দাবি করে প্রতি উত্তরে চাঁন মিয়া শুধু পলকের স্ত্রী-কে বিভিন্ন তারিখ দিয়ে ঘুরাচ্ছে বলে বিশ্বস্থ সূত্র বলছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী তাঁর সম্পর্কে মূখ খুলতে চায় না। পলকপন্থী সক্রিয় এমন কর্মচারী আইসিটি অধিদপ্তরে উদ্ধর্তন কর্মকর্তা কারও টনক নড়ছে না বলে দাবি করছেন অধিদপ্তদরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা। সরকারি বিধিমালায় রয়েছে যে, সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকারি নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না কিন্তু বিগত ২০১৮, ২০২৪ এর নির্বাচনে নাটোরে পলকের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন বলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ দাবি করছে। বর্তমান সময়ে খোলস পাল্টায়ে রয়েছে আইসিটি অধিদপ্তরে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় সব কিছু জেনেও না জানার ভান করে আছে বলে গোপন সূত্র বলছে।
এফপি/এমআই