সিডিএ সরাসরি কোন ধরণের কার্যক্রম, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করে না। সিডিএ’র সদস্য সংস্থা/এনজিও’র মাধ্যমে ও ক্ষেত্র বিশেষ পেশা/ব্যক্তি ভিত্তিক অংশীদার সহযোগীর মাধ্যমে কার্যক্রম ও প্রকল্প, উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী’র বাসাবোতে লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক বাস্তবায়ন-পরিচালনা করার জন্য এনজিও ব্যক্তিত্ব মো. ইসহাক আলী মনিকে বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিকের পূর্ণাঙ্গ স্বত্তা বা অংশীদার অংশ হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এবং যারা লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক ও এর বর্তমান স্বত্তাধিকারী মো. ইসহাক আলী মনি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অসৎ, উদ্দেশ্য প্রোণিদিতভাবে কুৎসা রটাচ্ছে এ সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও শাস্তি দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হক চৌধুরী মিলনায়তনে স্থানীয় এনজিও সমূহদের সংগঠন সিডিএ’র সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংস্থাটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী কথিত প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্ণধররা তাদের সরবরাহকৃত চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্র্যান্ড কোম্পানীর সাথে বাংলাদেশে বৈধ ডিস্ট্রিবিউটর-এজেন্টশীপ বিক্রয় চুক্তি অনুমতিপত্র, শীপমেন্ট চালান, বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র, বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড-ঘইজ মূসক/শুল্ক পরিশোধের বৈধ কাগজপত্র, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-ইঝঞও কর্তৃপক্ষের যথাযথ কাগজপত্র সরবরাহের জন্য তাগিদ দেয়ার পর হতে এসকল কথিত প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্ণধর গংরা সিডিএ’র সাথে আইনানুগভাবে মোকাবেলায় ব্যার্থ ও তাদের এ সকল অবৈধভাবে অনৈতিক ব্যবসার গোমর ফাঁসের ভয়ে সিডিএ ও এর কর্মকর্তা/কর্মচারী ও সহযোগী অংশীদার বা পূর্ণাঙ্গ মালিকানা স্বত্তাধিকারীদের স্বনাম, ভাবমূর্তি, ক্ষুন্ন করতে নানা ধরণের মিথ্যা বানোয়াট অসত্য উদ্দেশ্য প্রোণোদিতভাবে সাজানো কল্প কাহিনা ও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ চক্রটি দেশে মানবিহীন নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম অল্প মূল্যে চায়না’র বিভিন্ন ছোট-খাটো চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরীতে কম অভিজ্ঞ উৎপাদন ফ্যাক্টরী হতে মান যাচাই ছাড়াই বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম দেশের বাজারে চক্রের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
চক্রের সহযোগীরা ১) সুমন কুমার গুপ্ত, প্রোপ্রাইটর, লাইফ লাইন মেডিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং, ২) ইঞ্জিয়ার মাসুদুর রহমান ও তৈয়বুর রহমান, ব্যবসায়িক পার্টনার, টিএমএস এন্টারপ্রাইজ, ৩) দস্তগীর তাওহীদ, প্রোপ্রাইটর ইজিমেড ইন্টারন্যাশনাল, ৪) মেহেদী হাসান, প্রোপ্রাইটর, এ্যাক্টিভ সিকিউরিটি ফোর্স, ৫) মো: সুমন কবির, প্রোপ্রাইটর জে.এস টেকনোলজি, ৬) সরওয়ার আনিস পলাশ, প্রোপ্রাইটর ইউনিয়ন অফিস ইক্যুপমেন্ট, এই কথিত প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্ণধরদের নামে বে-নামে কথিত প্রতিষ্ঠান হতে দেশের উপজেলা, জেলা ও হাসপাতাল সমূহে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য ইক্যুপমেন্ট সরবরাহ করেছে। যার কোন ধরণের বৈধ কাগজপত্র নেই।
চক্রের অন্যতম সুমন কুমার গুপ্ত বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এর ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র’র সাথে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক, সুমন রাহাত কে মামা বলে সম্বোধন করতো এবং মহামারি করোনাকালে মুন্সিগঞ্জে একটি কারখানায় ঘ-৯৫ মাস্ক তৈরীর কারখানা নির্ধারণ ও সকল যোগাযোগ বা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে রাহাতের পক্ষে সুমন কুমার গুপ্ত কাজ করেছে।
করোনাকালে করোনার টিকা, কিট, নকল মাস্ক বানিয়ে ও ভুয়া আমদানি দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের চক্রের সাথে এই কথিত প্রতিষ্ঠান সমূহ ও প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্ণধর’রা জড়িত রয়েছে। এমনকি জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইক্যুইপমেন্ট, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজের দালালির ভাগ বসিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র। স্বাস্থ্য’র বিভিন্ন টেন্ডারে অনৈতিকভাবে অংশ নিতে তাদের নামে-বেনামে ব্যবহার করে এক ডজনের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাতি খ্যাত মেহেদী হাসান এ্যাক্টিভ সিকিউরিটি ফোর্স নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল অনুষ্ঠানের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। যে মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানই হোক না কেন মেহেদীর ডাক পড়বে সেখানে। ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া কিছু আমলাদের সহযোগিতায় এখনও দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে কাউয়া কাদেরের নাতি খ্যাত মেহেদী হাসান। দেশের স্বাস্থ্য খাতে নিম্ন মানের মেডিক্যাল সরঞ্জম সরবরাহ ও বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে সরঞ্জাম সরবরাহসহ সরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে অর্থ লোপাটকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের রেখে যাওয়া সহযোগিদের সরকারের নিকট অবিলেম্ব গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।
এফপি/এমআই