রমজানের আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে ৫৩টি জাহাজে করে রেকর্ড পরিমাণ চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব জাহাজে মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ টন পণ্য খালাস হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ৪০টি জাহাজে আসা ১০ লাখ টনের তুলনায় অনেক বেশি।
চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ২০ দিনে ২২টি নতুন জাহাজ বন্দরে এসেছে, যাতে প্রায় সোয়া আট লাখ টন পণ্য রয়েছে। এছাড়া, আরও ১০টি পণ্যবোঝাই জাহাজ বন্দরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুর, তেল ও চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের শুল্কহার কমিয়েছে। বর্তমানে, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বিশ্ববাজারেও নিম্নমুখী। এর ফলে ছোলা, খেজুর ও ডালের দাম কমতে শুরু করেছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তসলিম জানিয়েছেন, তারা এবার আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছেন এবং সরবরাহও বাড়িয়েছেন। শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে তারা ১১ হাজার ৮১০ টন তেল সরবরাহ করেছেন, যা আগের বছর ছিল ৯ হাজার ৫০০ টন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টন, যার মধ্যে রমজানে চাহিদা ৩ লাখ টন। অন্যান্য পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে, যেমন চিনির ৩ লাখ টন, মসুর ডালের ১ লাখ টন ও খেজুরের ৫০ হাজার টন।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বাজারের দামের তদারকি যথাযথভাবে হচ্ছে না। সরকার শুল্ক ছাড় দিলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এফপি/এমআই