Dhaka, Monday | 28 April 2025
         
English Edition
   
Epaper | Monday | 28 April 2025 | English
কাশ্মীরিদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা
আসিফ নজরুলের বাসভবনে ড্রোন, নিরাপত্তা জোরদার
ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে পাঠাগার থেকে শত শত বই লুট
ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
শিরোনাম:

এলাকাবাসী বলছেন ‘সেতুটি এখন আমাদের বিষফোঁড়া’

প্রকাশ: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:২০ পিএম  (ভিজিটর : ২২৪)

সেতু থাকলেও, নেই সংযোগ রাস্তা। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া  গ্রামের হাজারো মানুষ।

জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে উপজেলার ছলিমাবাদ  ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার বাড়ির কাছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে আজ অবধি সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঠিকাদার সেলিম মিয়া আজ (রবিবার)মুঠোফোনে  বলেন, সাড়ে ৩২ লাখ টাকার কাম তো... অতো মনে নাই। ব্রিজ তো টিক্কা আছে!!

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর নির্মিত হয় সেতু আর এখন তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সেতু ব্যবহার করতে পারছে না গ্রামবাসী সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা।

সেতুটিতে যানবাহন বা মানুষ চলাচলের স্থলে, মানুষ এখন ধান,মরিচ আবার কেউ কেউ কাপড়চোপড় বা কাঁথা শুকাচ্ছে। 

গত কয়েক বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর সংযোগ রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ রহস্যজনক কারণে শেষ না করায় সেতুর আশেপাশে জমে থাকছে পানি আর এ পানি জমাট বেধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে তারা। বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো নাজুক হয়ে যায়, সেতু থাকতেও নৌকা কিংবা ভিজে পার হতে হয় হাজারো গ্রামবাসীকে।

জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।
ভুড়ভুড়িয়া এলাকার মহসিন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ  বলেন, গত বহু বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার, তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়ি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা-তো অবহেলিত আমাদের কেনো তারা সুযোগ সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণ ধুলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয় দাঁড়ায়।  

মরিয়ম নামে এক নারী বলেন, বয়স হয়েছে এখনো খালের পানিতে নেমে পার হয়ে যেতে হয় ভুড়ভুড়িয়া বাজারে। সেতু কইরা দিছে কিন্তু সেতুতে ওঠার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি তারা (ঠিকাদার)। ছোট ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে ভিজে স্কুলে যাই, ভয় করে কখন আবার ওরা (নাতি-নাতনি) পানিতে পড়ে যায়, কারণ ওরা এখনো সাঁতার শেখনি এখনো আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর গোড়ায় মাটি দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিক।

স্থানীয় সংগঠক ও সমাজসেবী আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন,ব্রিজটি এখন এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংযোগ সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেরাই বাধ্য হয়েছে বাঁধ দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন।আর এতে বিরুপ প্রভাব পড়েছে সেতুর দু’পাশে থাকা হাজার হাজার একর কৃষি জমির।বাঁধের কারনে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।কৃষক এখন টাকা খরচ করে শেলো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দেয়।এর একটা বিহিত চাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান  বলেন, সেতু যখন নির্মাণ হয় ওই সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না, তাই বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ১৫/২০ দিনের মধ্যে সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝