হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বাড়ির পিছন পাশ দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টায় উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, মহেশ্বর দাস (৭০), ঈশ্বর দাস (৬৫), কমল চন্দ্র দাস (৩৫), অনিল চন্দ্র দাস (৫০), বিনা দাস (৬০), জয়দেব দাস (২৫), কল্পনা দাস (৩৫), কনোজ দাস (২২), বজেন্দ্র দাস (৬০), বেনু দাস (৩৫), জয়কুমার দাস (৬০), রিতা রাণী দাস (৪৫), মহাদেব দাস (৭১) বরেন্দ্র দাস (৩৫), রথীশ দাস (৪৫), বাসনা রাণী দাস (৩৫)। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।
এদের মধ্যে মহেশ্বর দাস (৭০), ঈশ্বর দাস (৬৫), কমল দাস (৩৫) এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাস দেড়েক পুর্বে উদয়পুর গ্রামের বেনু দাসের জমি থেকে বাচ্চাদের লাউ চুরির একটি বিষয় নিয়ে একই গ্রামের নেপাল দাসের সাথে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। গত চৈত্র মাসে স্থানীয় মুরব্বিরা বসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
শনিবার সন্ধ্যায় নেপাল দাসের পক্ষের ও বেনুর প্রতিবেশী ব্রজেন্দ্র দাস গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেনু দাসের বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় বেনু দাস বজেন্দ্রকে বাঁধা দেয় এবং মারধর করে। বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অরুণ কুমার তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা গ্রামবাসী মিলে সেখানে গিয়ে তাদের উভয়পক্ষকে বিরত করার চেষ্টা করি৷ ততক্ষণে পুলিশ এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, লাউ চুরির একটি বিষয় নিয়ে তাদের পুর্ব বিরোধ ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
এফপি/রাজ