কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার কাকৈরতলা গ্রামে সরকারি ঘর থেকে খোরশেদা আক্তার নামে এক মহিলাকে আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো।
এ বিষয়ে ২৬ শে এপ্রিল দুপুর ২টা বাজে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, পুরো ঘটনার দৃশ্য পাল্টে যায়, বের হতে থাকে অজানা তথ্য। ঘরের বিষয়ে আলী হোসেনের কাছে জানতে চাইলে আলী হোসেন বলেন, খোরশেদা আক্তার নামে যে মেয়েটি সরকারি ঘর পেয়েছে দুজন বিক্রেতা এনে ঘরটি বেচা বিক্রয়ের আলোচনা চলছিল ঠিক তখনই আমি জানতে পারি, এই বিষয়ে আমি বাধা প্রদান করি সরকারি ঘর কিভাবে বেচা বিক্রি হয়। এই তথ্য গুলো যখন তথ্য সংগ্রহকারীর কাছে প্রকাশ করেন।
ঠিক তখনই সরকারি ঘরে থাকা পাশে ঘরে আরো দুই চার জন লোক বের হয়ে এসে বলেন। এখানে আরো দুটি ঘর বিক্রি হয়ে গিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে।
প্রতিটি ঘর ৭০ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে বলে সরকারি ঘরে থাকা লোকেরা জানান। সরকারি ঘর ক্রেতা রিপন বলেন আমি এই সরকারি ঘরটি ক্রয় করার আগে ছিলো শামীমের ঘর, এই ঘরটি আমি কিনেছি শফিউল্লাহ সুজন নামের এক সাংবাদিকের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে।
এ সময় রিপন আরো বলেন, এই শফিউল্লাহ স্যারের মাধ্যমে আরো একটি ঘর বিক্রি হয়েছে তাহারা বর্তমানে ঢাকায় থাকেন মাঝেমধ্যে এলাকায় আসেন, তা ছাড়া ও আরও একটি ঘর বেচা বিক্রির আলোচনা চলছে সেই ঘরটি হলো খোরশিদা আক্তারের নামে ।
স্থানীয় কাকৈরতলা গ্রামের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, সাংবাদিক হলো দেশ ও জাতির আয়না, শফিউল্লাহ সুজন সাংবাদিক যা করেছে নেহাত অন্যায় এ বিষয় আমরা বরুড়া উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পরে শফিউল্লাহ সুজন সাংবাদিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি তাদেরকে সহযোগিতা করেছি চাল ডাল ইত্যাদি দিয়ে তৎকালীন রাশেদ ভূমি কর্মকর্তা থাকতে তাছাড়া কিছু জানি না।
এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রশাসন নু- এমং মারমা মং এর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, নু -এমং মারমা মং বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না, তবে এই বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/রাজ