অটোরিক্সা চালক এবং সংবাদপত্র বিক্রেতা আনিসুর রহমান ঠান্ডার নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার সকাল দশটায় গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে গানাসাস মার্কেটের সামনে কিশামত ফলিয়া এলাকাবাসীর আয়োজনে এসব অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে বেলা ১১টা থেকে আধা ঘন্টাব্যাপী ডিবি রোডের ট্রাফিক মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা । খবর পেয়ে গাইবান্ধা সদর থানার কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান তালুকদার ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রিক্সা-ভ্যান ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক লাভলু মিয়া, এলাকাবাসীর পক্ষে আবদুল ওহাব, রাজা মিয়া, আবদুল খালেক, জাহাঙ্গীর আলম, নিহত আনিস মিয়ার স্ত্রী কবিতা বেগম, নিহতের বোন হেনা বেগম, নিহতের ছেলে প্রান্ত মিয়া, নিহতের চাচা রিজু মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আনিসকে হত্যা করে অটোবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ আসামি গ্রেফতারে গড়িমশি করছে।
তারা আরও বলেন, তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনিস হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে। গত কয়েক মাসে অসংখ্য খুনের ঘটনা ঘটেছে। চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার কর্মকর্তা বলেন, আসামীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারে
চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আনিস হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত ফলিয়া গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ঠান্ডা (৩৭)। তিনি প্রায় ১৮ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরে সংবাদপত্র ফেরি করে বিক্রি করেন। পত্রিকা বিক্রির পর প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি অটোবাইক চালান।
গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে জেলা স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা বলে তার অটোবাইকে ওঠে। সেখানে যাওয়ার পর ওইসব দুর্বৃত্তরা আনিসকে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার পর অটোবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নিহত আনিস মিয়ার স্ত্রী কবিতা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়।
এফপি/রাজ