যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় মাত্র তিন মাসে স্টাফদের আপ্যায়ন বাবদ সোয়া ১৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। চারটি চেকের মাধ্যমে এই টাকা তোলা হয়েছে। তবে ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত সময়কালে আপ্যায়ন খরচ দেখিয়ে চার দফায় এই অর্থ উত্তোলন করা হয়। পৌর কর নির্ধারক পলাশ সিংহের নামে চার লাখ ১৬৩ টাকা, এক লাখ ৯৬ হাজার ১৮৫ টাকা, চার লাখ টাকা এবং পাঁচ লাখ আট হাজার ১৮১ টাকা করে মোট ১৫ লাখ ৪ হাজার ৬২৯ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব টাকা মূলত ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অনিয়মের সাথে সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক পৌর সেকও জড়িত রয়েছেন বলে প্রশাসকও দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে পৌর কর নির্ধারক পলাশ সিংহ জানান, তার নামে উত্তোলিত অর্থ স্টাফদের আপ্যায়ন ও বিভিন্ন খরচের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত কোনো হিসাব তিনি দিতে পারেননি।
কেশবপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, তিনি গত ২৪ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার আগে ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান পৌর প্রশাসক রেকসোনা খাতুন জানান, তিনিও সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন। অতীতে কোনো দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পৌরবাসীর অভিযোগ, ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে পৌরসভার লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাট হলেও কার্যকর কোনো নজরদারি বা তদন্ত হয়নি। তাই দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এফপি/রাজ