আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩৩ টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া–২ ও ৩ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও কুষ্টিয়া–৪ (খোকসা -কুমারখালি) ও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
কুষ্টিয়া–১ (দৌলতপুর) আসনে মোট ৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা এবং জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী দৌলতপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর বাহিরে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া–২ (মিরপুর–ভেড়ামারা) আসনে দাখিল হয়েছে ৮টি মনোনয়নপত্র। বিএনপির পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন জমা দেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী এবং জামায়াতের পক্ষে মনোনয়ন দাখিল করেন দলের নায়েবে আমির আবদুল গফুর। এখানেও কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে মোট ৭টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য আমির হামজা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনেও জোটভুক্ত দলগুলোর কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেননি।
সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে কুষ্টিয়া–৪ (কুমারখালী–খোকসা) আসনে। এখানে মোট ১০টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। বিএনপি'র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি এবং জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসেনের পাশাপাশি বিএনপির দুই নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন— কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী এবং কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক।
এই দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে কুষ্টিয়া–৪ আসনে বিএনপির ভেতরকার দ্বন্দ্বই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।
এফপি/জেএস