ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জয়পুরহাট-১ ও জয়পুরহাট-২ আসনের জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাসদ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আল মামুন মিয়ার কাছে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, তারা আশা করছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জয়পুরহাট-১ আসন থেকে বিএনপি, জামায়াত, বাসদ, এবি পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন। বিএনপি: মাসুদ রানা প্রধান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: ফজলুর রহমান সাঈদ খেলাফতে মজলিস: মাওলানা আনোয়ার হোসেন এবি পার্টি: সুলতান মো. সামসুজ্জামান বাসদ: মো. ওয়াজেদ পারভেজ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী): তৌফিকা দেওয়ান ও জালাল উদ্দীন মণ্ডল স্বতন্ত্র প্রার্থী: সাবেকুন নাহার শিখা এ আসন থেকে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জয়পুরহাট-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন— বিএনপি: আব্দুল বারী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: রাশেদুল আলম সবুজ এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ): এস এ জাহিদ বিএনপির সাবেক এমপি: ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা স্বতন্ত্র প্রার্থী: সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী: ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন: ২৯ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র বাছাই: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ আপিল দায়ের: ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি।
আপিল নিষ্পত্তি: ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ: ২০ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ: ২১ জানুয়ারি নির্বাচনি প্রচারণা শুরু: ২২ জানুয়ারি প্রচারণা শেষ: ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট ভোটগ্রহণ: ১২ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ্য, জয়পুরহাট জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৬ জন