শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাখান করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনারদের ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে রাত ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৯টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে রাত ৯টায় উপাচার্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর রেখে শীতকালীন ছুটি পরিবর্তন করে পিছিয়ে দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা আরো বেশী ক্ষোভে ফুসে উঠে। পরবর্তীতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে। কিন্তু রাত ৪টা পর্যন্ত আলোচনা হলেও প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত অনড় থাকে।
আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি জানিয়েছে, ১২ তারিখের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে এবং বিলম্বিত শীতকালীন ছুটি প্রত্যাখ্যান করতে হবে। অন্যথায় কঠিন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
রাতে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় বলেন, ‘শাকসু নির্বাচনের যে তারিখ দেয়া হয়েছে, এটি নিরাপত্তা ও বিতর্কমুক্ত রাখতে গ্রহণযোগ্য। কারণ তার আগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। প্রশাসনের কাছে মনে হয়েছে এটি বিতর্কমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য হবে।’
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘শাকসু নির্বাচন হবে, তোমরা প্রস্তুতি শুরু করো। এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নাই। আমরা তোমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।’
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, শীতকালীন ছুটি বিলম্ব করলে শিক্ষার্থীরা তা মানবে না। আবার ১৭ তারিখ নির্বাচন হলে ১২ , ১৩, ১৪ এবং ১৬ তারিখ বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সকলেই বাসায় চলে যাবে। ফলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হবে না। তাই আমরা চাই নির্বাচন ১২ তারিখের মধ্যে দেওয়া হউক।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনস্থলে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন। তিনি বলেন, ‘শাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই একটি মহল বিরোধিতা করে আসছে। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা ছাত্রশিবির প্রহসন হিসেবে দেখছে এবং আমরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি।’
এফপি/অ