আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নারীদের লেখা বই ও ইরানি প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। একই সঙ্গে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অন্তত ১৮টি বিষয়, যার মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জেন্ডার স্টাডিজ এবং নারীদের ভূমিকা সংক্রান্ত কোর্সও রয়েছে।
তালেবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আগস্টের শেষ দিকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। পাঠানো তালিকায় ৬৭৯টি বইকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০টি নারী লেখকের লেখা, আর ৩১০টি ইরানি লেখক বা ইরানে প্রকাশিত বই।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানানো হয়েছে, এসব বই ও কোর্স শরিয়াহ এবং সরকারের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মানবাধিকার, যৌন হয়রানি, গণতন্ত্র, বৈশ্বিকীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পাঠদান পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। নারী বিষয়ক অন্তত ছয়টি কোর্স- যেমন Gender and Development, The Role of Women in Communication ও Women’s Sociology- সরাসরি নিষিদ্ধ তালিকায় গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এ পদক্ষেপ আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি আইনের সুরক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা বলছেন, এভাবে পাঠ্যসূচি সংকুচিত করলে শিক্ষা ও গবেষণার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই আফগানিস্তানে নারীর শিক্ষা ও কাজের সুযোগ ক্রমশ সীমিত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার বন্ধ, এমনকি ধাত্রীবিদ্যা কোর্সও বাতিল করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে শুধু নারীদের নয়, সামগ্রিকভাবে উচ্চশিক্ষার পরিসর আরও সংকুচিত হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফপি/রাজ