কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক নারীকে অপহরণের পর আটকে রাখার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ এক অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট পূর্ব রিজার্ভপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম রমজান আলী (৩৫)। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তের আরও দুই সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মালুমঘাট পূর্বপাড়ার একটি নির্জন ঘরে ওই নারীকে আটকে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিকটিমের স্বজনরা চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, “অপহরণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালায়। এতে রমজান আলীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীচক্রের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তারা সুযোগ পেলেই নারী ও কিশোরীদের জিম্মি, চাঁদাবাজি কিংবা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহল ও কঠোর নজরদারি না বাড়ালে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত রমজান আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে ইতোমধ্যে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
ভিকটিম নারীকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
চকরিয়ার সাধারণ মানুষ এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা। পাশাপাশি গ্রেপ্তার হওয়া অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এফপি/রাজ