তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ১১ দিন পর হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সবকটি জলকপাট। এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় পানি ছাড়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
পানির স্তর কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার সকাল আটটায় সবকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখনো কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে।
কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, উজান থেকে পানির ঢল কমে আসায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব বিষয় চিন্তা করে বাঁধের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮.২২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদে সবোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে পানির স্তর আরো কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সবকটি গেট এক সপ্তাহ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এরপর ২০ আগস্ট আবারো হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছলে জলকপাট তিন দিন খোলা রাখা হয়।
এফপি/রাজ