Dhaka, Monday | 28 July 2025
         
English Edition
   
Epaper | Monday | 28 July 2025 | English
বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
চলে গেলেন অফিস সহকারী মাসুমাও, নিহত বেড়ে ৩৫
মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপরে, চাঁদপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পিরোজপুরে বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শিরোনাম:

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতিতে শুল্ক সুবিধা বাগে আনার চেষ্টা

প্রকাশ: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ৪:৫১ পিএম  (ভিজিটর : ৫১)
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর দর-কষাকষিতে সুবিধা পেতে এবার দেশটি থেকে ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ। এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।

আজ রোববার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এর আগে কিছুটা বাড়তি দামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। আজ বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, বোয়িংয়ের ব্যবসা যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়, বোয়িং কোম্পানি করে। বাংলাদেশ ২৫টি বোয়িংয়ের অর্ডার দিয়েছে। ভারত, ভিয়েতনাম ১০০টি করে অর্ডার দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ৫০টি। এ রকম অর্ডার বিভিন্ন দেশ দিয়েছে। বোয়িং কোম্পানি তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সরবরাহ করবে। অর্ডারের বোয়িং পেতে অনেক সময় লাগবে। যাকে আগে অর্ডার দিয়েছে তাদের আগে দেবে কিংবা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী বিমান সরবরাহ করবে। বাংলাদেশের অতি দ্রুত কিছু বোয়িং দরকার। আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে হয়তো কিছু বিমান পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ বিমানের বহর বাড়াতে হবে। এই পরিকল্পনা সরকারের আগে থেকেই ছিল। আগে ১৪টি বোয়িংয়ের অর্ডার ছিল। রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ ইস্যুতে ২৫টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ চুক্তির খসড়া পাওয়ার পর কয়েক দফায় কাজ করেছি। ওয়াশিংটনে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনেও মিটিং হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রকে চূড়ান্ত অবস্থান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের সব খসড়ার জবাব দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান জানানো হয়েছে।

বাণিজ্য সচিব জানান, তাদের কাছে সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে মঙ্গল ও বুধবার ওয়াশিংটনে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ- ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য আলোচনাকারী সংস্থা) এর অফিসে সরাসরি বৈঠক হবে। বৈঠকে থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিব। সোমবার সন্ধ্যায় রওনা দেবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারও (৩১ জুলাই) একটি সভা হতে পারে। যেহেতু তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ১ আগস্টের মধ্যেই হয়তো শুল্কের বিষয়ে ফলাফল হয়ে যাবে।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির চুক্তি করেছি। বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা সয়াবিন আমদানির চিন্তা করছে। সেজন্য তারা বসবে। সরকার যখন ইউএসটিআর এর সঙ্গে বসবে, তখন বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরাও যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন তেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবেন। আশা করি, তাদের মধ্যেও একটি সমঝোতা হবে। আগেই তাদের তুলা কেনার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখনও তুলা তাদের কাছ থেকে আমদানি করা হয়। তবে সেটি এখন কমে গেছে। এভাবেই প্রত্যাশা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়বে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির মধ্যে বিনিয়োগ ইস্যু আছে। তবে সেটি প্রধান নয়। সারা পৃথিবীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১.৩ ট্রিলিয়ন বাণিজ্য ঘাটতি আছে। তাদের উদ্দেশ্য এই বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। সেজন্যই রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেছে। সরকারি খাত-বেসরকারি খাত মিলিয়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন টন গম আমদানি করা হয়। কখনই একটি দেশ থেকে এ গম আনা হতো না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আমদানি হতো। রেড সি এলাকায় পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা আগের মতো নেই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার ওপর নির্ভরশীলতা রাষ্ট্রীয় স্বার্থেই প্রয়োজন। রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে গম আনা হয়। কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে নেয় না। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৮ বিলিয়ন কেনে, যা আমাদের কাছ থেকে কেনে, সুতরাং তার কাছ থেকেও আমাদের কেনা উচিত। আমাদের একটু অগ্রসর হওয়া উচিৎ। বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করেছি, সেখান থেকে কিনে শুল্ক ইস্যুতে সহায়তার জন্য।

তিনি আরও বলেন, ‌‘আমাদের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার, হ্যাঙ্গার বোয়িং নির্ভর। তাই বোয়িং কিনতে হবে। পাশাপাশি এয়ারবাস বা অন্যান্য বিমান যে কিনব না, তেমন নয়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকেই কেনা হবে, সেটি বলা হয়নি। সুবিধা আছে বলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকেই বিভিন্ন জিনিস আমদানি করা হয়। অসুবিধা থাকলে ব্যবসায়ীরা আনতো না। সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনার প্রভাব বাজারে পড়বে না।’

বাণিজ্য সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে চীনের ওপর চাপ সবার চেয়ে বেশি পড়ছে। তাদের ওখান থেকে উৎপাদন স্থানান্তর হতে পারে। সেটার হিস্যাদার আমরাও হতে পারি। আরেকটি দেশ থেকে বাংলাদেশ সুবিধাজনক পণ্য আমদানি করলে সেটি চীন বা অন্য দেশের সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরির কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের প্রত্যাশা ভিয়েতনাম বা ভারতের ওপর যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তার চেয়ে কম সুবিধা পাবে এমন মনে করছি না। প্রতিযোগীদের চেয়ে আমাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র বেশি চাপিয়ে দেবে এমন মনে করছি না।

এফপি/এমআই
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝