নেছারাবাদের সমুদয়কাঠি ইউনিয়নে খানায় একের পর এক মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপি সমর্থিতদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বিএনপির সদস্য না এমন লোক দিয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে শুরু হয় আভিযোগ থেকে নাম দেয়া, এবং নেয়ার তদবির বাণিজ্য। এমন অভিযোগে আসামি করা হয়েছে নিরীহ বহু সাধারণ মানুষকে।
বিএনপির একটি অংশ মিথ্যে অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি শুধু মাত্র ব্যাক্তিগত আক্রোশ মেটাতে, জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিলো এমন লোকদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা বলে।
সম্প্রতি সেহাংগল গ্রামে বিএনপির পরিচয়ে ফয়সাল নামে একজন মাদকাসক্তকে দিয়ে করানো হয়েছে মিথ্যে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে মতে, বাদির নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে যে কিনা থেকেছেন রিহাবেও।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে এবং নিরপরাধ ব্যবসায়ীদেরকে মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির কবল থেকে রক্ষার জন্য সেহাংগল বিক্ষোভ করে প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি একাংশের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ ঐ বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সর্বস্তরের ব্যবসায়ী মহল ও জনগণকে এ বিষয়ে একসাথে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানায়।
সেহাংগল গ্রামে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এই সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক লিটন, যুবদলের সদস্য আব্দুল কাইউম, পলাশ দাস, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ জাকির হোসেন, শাকিল আহমেদ থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য।
অভিযোগের বিষয় ফয়সাল এর মা বলেন, ফয়সাল তো পুলিশ দেখলেই পালিয়ে পেড়ায় ওর নামে থানায় মাদক মামলা ছিলো। হয়তো টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে দিয়ে থানায় মামলা করিয়েছে কেউ।
ফয়সালের খালা লায়লা বলেন, আমি তাকে জিগ্যেস করেছিলাম তুমি কেন মামলা দিয়েছো নিরীহ মানুষের নামে। ও আমাকে জানিয়েছে তাকে একটা মটরসাইকেল কিনে দিলে মামলা তুলে নিবো।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করতেছি। আমরাও চাই না কোন নিরীহ মানুষ মামলার শিকার হোক। এটা আমাদের এসপি সাহেবের নির্দেশ।
এফপি/রাজ