বান্দরবানের আলীকদমে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড রাস্তার মাথা সংলগ্ন বিটিসি বেলাল উদ্দীন ও সিরাজুল ইসলামে নার্সারীতে ধ্বংসকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
আলীকদম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান,আলীকদম প্রেস ক্লাবের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো,আলীকদম রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি জয়দেব রানাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলীকদম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা তার বক্তব্যে বলেন, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি হওয়ায় কৃষি প্রনোদনার মাধ্যমে এসব গাছের চারা উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আজ আমরা ২টি নার্সারিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করলাম। নার্সারি মালিককে প্রতিটি গাছের চারার বিপরীতে চার টাকা করে প্রণোদনা প্রদান করা হবে। পুরো আলীকদম উপজেলার নার্সারিতে ১ লাখ ৫৩ হাজার চারা ধ্বংস করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বাকি গাছের চারা ধ্বংস করা হবে।
তিনি আরও বলেন,সারাদেশে আকাশমণি- ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংসে মাঠপর্যায়ে অভিযান শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর এ কার্যক্রম শুরু হলো। পরিবেশ ও মাটির ক্ষতি করে এমন গাছ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় সরকারি উদ্যোগে এসব চারা উৎপাদন, রোপণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ কারণে কৃষি বিভাগের অধীন মাঠপর্যায়ের কর্মীরা নার্সারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গাছের চারা ধ্বংস করছেন। সঙ্গে প্রতিটি গাছের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৪ টাকা করে প্রণোদনা। পাশাপাশি নার্সারি মালিকরা আর এ চারা উৎপাদন করবেন না এমন অঙ্গীকারও করছেন। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগ্রাসী এসব প্রজাতির বদলে নারিকেল, আম, কাঁঠাল, নিম, তালসহ নানা দেশি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১৫ মে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন দেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এফপি/রাজ