জামালপুরের মাদারগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসতর্কতায় মেহেদী হাসান (২৫) নামে এক ইলেক্ট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের পলিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ গজারিয়া এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে পলিশা এলাকার বাবুল মন্ডলের সেচপাম্পের লাইন মেরামতের জন্য মেহেদী হাসানকে পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান শাহীন ডেকে নিয়ে যান। এরপর কয়ড়া সাব জোনাল অফিস থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে সেচপাম্পের লাইন মেরামতের কাজ শুরু করেন মেহেদী। কাজ শেষ না হতেই হঠাৎ কয়ড়া সাব জোনাল অফিস থেকে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মেহেদী হাসান প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় সেচ মালিক বাবুল মন্ডল মেহেদীকে বাঁচাতে গেলে তিনিও গুরুতর আহত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নিহতের চাচা জগলুল পাশা বলেন, শুক্রবার বন্ধের দিন থাকা সত্বেও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন আমার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে যায়। কাজ শেষ না হতেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করলে আমার ভাতিজা মেহেদীর মৃত্যু হয়। মেহেদীর ছোট একটি মেয়ে বাচ্চা আছে। আমরা এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও করবো।
কয়ড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম শিকদার ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি ছুটিতে আছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ জিয়াউল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এফপি/এমআই