মৃত্যুপুরী সড়ক হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নিয়ে দীর্ঘ ত্যাগ তিথিক্ষার পর ৬লাইন বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন কর্মসূচীর শেষ পদক্ষেপ হিসেবে সম্পূর্ণ সড়ক ব্লকেড করেছে ।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টাকা থেকে এ ব্লকেড কর্মসূচী শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ করার কথা থাকলেও প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর ১২টার দিকে এ ব্লকেড কর্মসূচী সমাপ্ত করে ৬লাইন মহাসড়ক বাস্তবায়ন কমিটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৯টা থেকে সড়কে বাঁশ ফেলে ও ব্যানার টাঙ্গিয়ে সড়কের উপর গোল চত্ত্বর দিয়ে বসে সম্পূর্ণ অচল করে রাখে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এসময় উপজেলা প্রশাসন, লোহাগাড়া থানা পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে তাদের এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করতে বলতে দেখা যায়।
এসময় লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, ৬লাইন সড়ক বাস্তবায়ন করা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরাও আপনাদের দাবীর সাথে একমত। এ মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীত করার জন্য আমরাও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বার বার তথ্য পাঠাচ্ছি। সবার সার্বিক সহযোগিতা থাকলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়। তবে দীর্ঘ যানজট হওয়াতে বহু মানুষ ভোগান্তিতে আছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে আজকের ব্লকেড কর্মসূচী সমাপ্ত করে দিলেই সবার কষ্ট লাগব হবে।
সড়ক ব্লকেড স্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তাঁরা জানিয়েছে ১৫ দিনের মধ্যেই কোন একটি আশানুরোপ ফলাফল তারা জানাবেন। দীর্ঘ সময় ব্লকেডের কারণে বহু মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তাই অতি শীঘ্রই এ ব্লকেড কর্মসূচী সমাপ্ত করলে জনসাধারণের কষ্ট লাগব হবে।
৬লাইন মহাসড়ক বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, আমরা সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ব্লকেড কর্মসূচী করেছি। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরাও আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। উপজেলা প্রশাসন আমাদের জানিছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি সুফল আসবে। তাই আজকের ব্লকেড কর্মসূচী সমাপ্ত করা হল। তবে ১৫দিনের মধ্যে কোন আশানুরোপ ফলাফল না পেলে আমরা পুনরায় স্থায়ীভাবে সড়ক ব্লকেড করার সিদ্ধান্ত নিব।
এফপি/অ