প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এখনো একটি পিআইসিও গঠন করা হয়নি।
নীতিমালা অনুযায়ী, (৩০নভেম্বর) এর মধ্যে জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের শেষ সময়সীমা ছিল।
(১৫ডিসেম্বর) মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করে তা আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। বাঁধের কাজ শুরু করার আগে যাবতীয় কাজগুলো এখনো শেষ না হওয়ায় যথাসময়ে বাঁধের কাজ শুরু ও শেষ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাওর থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় এসব কাজ যথাসময়ে শেষ করা যায়নি।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল,গুরমা, রুই বিল, সোনামড়ল, জয়ধনা , কাইলানী ও ধানকুনিয়া। এসব হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে এবার ১৫৫কিলোমিটার জরিপ কাজ হবে। এসব ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের জন্য সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে (১৩নভেম্বর) থেকে ধর্মপাশা উপজেলায় চারটি জরিপদল জরিপ কাজ শুরু করেন। সোমবার (১ডিসেম্বর) পর্যন্ত ধর্মপাশার ১৫৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৮৫ কিলোমিটার জরিপ শেষ হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলায় ফসলরক্ষা বাঁধের সম্ভাব্য পিআইসি সংখ্যা ৯০টি।
উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও চন্দ্র সোনার হাওরপাড়ের কৃষক সাজ্জাদ মিয়া (৪০) বলেন, আমরা হাওরের ফসলহানির যে দৃশ্য অতীতে দেখেছি সেই করুণ দৃশ্য আর দেখতে চাই না। তাই সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু করতে হবে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ধর্মপাশা উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব চয়ন কান্তি দাস বলেন, ধর্মপাশা উপজেলার কৃষকেরা হাওরের একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের সব কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ করতে হবে। অন্যথায় হাওরের বোরো ফসল ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যাবে।
ধর্মপাশা উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের তদারকির দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধীর গতিতে হাওর থেকে পানি নামছে। এ জন্য জরিপ, পিআইসি গঠন, প্রাক্কলন তৈরি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, পিআইসিগঠনসহ যাবতীয় কাজ সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শেষ করার সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় বলেন, এখানকার কৃষকেরা হাওরের একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তাই হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু করে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এফপি/জেএস