বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করেছেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারে। সেই নির্বাচন যেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) এর মাজারে যান জিয়ারতের জন্য।
দুপুরে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল, যেখানে ফখরুল অংশ নেন। এরপর বেলা ২টায় সিলেটের দরগাহ গেট এলাকার একটি হোটেলে আয়োজিত হয় এক বিশেষ স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
সফরে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ইকবাল মাহমুদ টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
গত মাসে লন্ডনে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রমজান শুরু হওয়ার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগেই ভোট সম্পন্ন করার বিষয়ে ঐক্যমত গঠিত হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তারা চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সমাধান চায়, এবং সেটি একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। মির্জা ফখরুলের মন্তব্য সেই অবস্থানেরই প্রতিফলন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির অবস্থান এখনও বিরোধপূর্ণ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন হলে তা একটি সম্মিলিত সমাধানের পথে সম্ভাব্য প্রথম ধাপ হতে পারে।
এফপি/রাজ