সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব রথযাত্রা। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বীতিয়া তিথিতে পালিত হয় এই রথযাত্রা। জগন্নাথ, বলরাম, সুভাদ্রার রথযাত্রা বিশেষ মাহাত্ন্য রয়েছে।
পুণ্য লাভের আশায় গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় পাঁক পরিক্রমাসহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার ও ঢাক-ঢোলক, বাদ্য, শঙ্খ, উলুধ্বনির মধ্যদিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলরাম রথযাত্রার শুরু করা হয়।
আদমদীঘি উপজেলা সদরের তালশন রাধাগোবিন্দ মন্দির, সান্তাহার রথবাড়ী রাধামাধব মন্দির, রেলওয়ে মন্দির বৃহৎ আকারে এবং ছোট পরিসরে বশিপুর মন্দির, চাঁপাপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর রাধাগোবিন্দ মন্দির, মিতইল মন্দিরে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়।
স্ব স্ব মন্দির প্রাঙ্গন থেকে রথের প্রথম টানের মধ্যদিয়ে মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। আদমদীঘি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিত দেবনাথ বাপ্পা জানান, রথযাত্রার পুণ্য তিথিতে নিজ নিজ রথে প্রভু জগন্নাথ, দাদা বলরাম, বোন সুভদ্রাকে নিয়ে সপ্তাহ কালের জন্য মাসির বাড়ী অর্থাৎ ইন্দ্রদ্যুস্নের পত্নী গুন্ডিচার বাড়ীতে গমন করেন। এই বেড়াতে যাওয়ার উৎসবই রথযাত্রা। রথযাত্রা হিন্দু ধর্মের বিশেষত: প্রভু জগন্নাথের ভক্তদের কাছে একটি পুণ্য উৎসব এবং পুণ্য তিথি। এই পুণ্য তিথিতে শ্রীশ্রী জগন্নাথ ধাম পরী ছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে মহাসমারোহের রথযাত্রা পালিত হয়।
হিন্দু শাস্ত্রমতে রথের দড়ির স্পর্শে (দড়ি টানলে) পুণ্য লাভ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পুণ্য লাভের আশায় আদমদীঘি উপজেলার হিন্দু ধর্মালম্বীরা এই রথযাত্রার আয়োজন করেন।
রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শিবেশ কুমার মৈত্র, বাদল মৈত্র, উদয় সরকার, অরুন সরকার, সুভাষ ঘোষ, অরুন সরকার সৌরভ চন্দ্র, হারান চন্দ্রসহ নেতৃবর্গ। রথযাত্রা মন্দির এলাকা সমূহে বসেছে বিভিন্ন সামগ্রির মেলা।
এফপি/রাজ