নতুন প্রজন্মের কবি ইসমাম জাহান তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নির্জন জলছবি’ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা কবিতায় নিজের এক স্বতন্ত্র স্বর তুলে ধরেছেন। জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতি, প্রেম-বিরহের মাধুর্য এবং একাকিত্বের গভীরতা এই গ্রন্থের প্রতিটি ছত্রে-ছত্রে প্রবাহিত হয়েছে।
নির্জন জলছবি—শব্দের ক্যানভাসে জীবনের জলরঙ
ইসমাম জাহানের কবিতাগুলো যেন জীবনের অনুভূতিগুলোকে শব্দের ক্যানভাসে জলরঙের মতো ছড়িয়ে দিয়েছে। এখানে পাঠক খুঁজে পাবেন প্রথম প্রেমের মিষ্টি আলোর রেখা, বিদায়ের বেদনাময় ছায়া, নির্জন দুপুরের গুমরে ওঠা নিঃশ্বাস কিংবা ভোরের কুয়াশাভেজা বিষণ্নতা। প্রকৃতি ও অনুভূতি এখানে একাকার—কখনো আকাশের মেঘ হয়ে, কখনো নরম বৃষ্টির ছায়ায় কবির অন্তর্গত আবেগ ছুঁয়ে যায় পাঠকের হৃদয়।
কবির ভাষায়, ‘নির্জনতা নিজেই এক নির্মল শিল্প’
‘নির্জন জলছবি’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইসমাম জাহান জানান, “জীবনের অনেক মুহূর্তেই আমরা নিঃসঙ্গ হই, বিচ্ছিন্ন অনুভব করি। কিন্তু সেই নির্জনতা কোনো শূন্যতা নয়, বরং তা এক অনন্য শিল্প—যেখানে মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়, অনুভূতির গভীরে প্রবেশ করে। আমার এই বই সেই নীরব আবেগেরই শব্দরূপ।”
কবিতার বৈচিত্র্য ও আবেগের বুনন
গ্রন্থের প্রতিটি কবিতা আলাদা আলাদা আবহ তৈরি করে। কিছু কবিতায় প্রেমের নরম উত্তাপ, কিছু কবিতায় বিচ্ছেদের হাহাকার, আবার কিছু কবিতায় প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধের অনুপম চিত্র আঁকা হয়েছে। ‘নির্জন জলছবি’ পাঠককে কখনো নস্টালজিক করে, কখনো একাকীত্বের নরম পরশ দিয়ে মন ছুঁয়ে যায়। শব্দচয়ন, ইমেজারি ও অনুভূতির বুনন অত্যন্ত আন্তরিক এবং স্পর্শকাতর।
ফ্ল্যাপ লেখক এমদাদ হোসেনের দৃষ্টিতে ‘নির্জন জলছবি’
বইটির ফ্ল্যাপ লিখেছেন কবি ও লেখক এমদাদ হোসেন। তিনি মন্তব্য করেন, “শব্দের নির্জনতায় যদি ভালোবাসার প্রতিধ্বনি শোনা যায়, যদি একাকিত্বের মাঝে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা অনুভব করা যায়—তবে সেই অনুভূতির নাম ‘নির্জন জলছবি’।”
কাব্যপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ
‘নির্জন জলছবি’ শুধুমাত্র প্রেম বা বিচ্ছেদের কবিতার সংকলন নয়; এটি একান্তভাবেই একটি আত্মবিশ্লেষণের কাব্যিক ভ্রমণ। যেখানে পাঠক নিজের হারানো সময়ের মুখোমুখি হবেন, মনে করবেন পুরোনো স্বপ্নের গল্প, হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির রঙ।
প্রকাশনা ও পাওয়া যাবে যেখানে
‘নির্জন জলছবি’ প্রকাশ করেছে বিবেক পাবলিকেশন। খুব শিগগিরই বইটি পাওয়া যাবে জাতীয় বইমেলা, অনলাইন বুকস্টোর এবং দেশের বিভিন্ন লাইব্রেরিতে। কাব্যপ্রেমী পাঠকদের কাছে এটি হতে পারে ২০২৫ সালের অন্যতম প্রিয় সংযোজন।
এফপি/এমআই