তুমি বললে
তুমি বললে, পৃথিবীর সব রঙ তোমার
আমি বললাম, ঠিক আছে।
তুমি বললে, আকাশটার সবটাই তোমার
আমি বললাম, ঠিক আছে।
তুমি বললে, সমুদ্রের স্রোত মাখবে
আমি বললাম, ঠিক আছে।
তুমি বললে, প্রতিটি ছুটির বিকেল তোমার
আমি বললাম, ঠিক আছে।
তুমি বললে, এক কাপ সতেজ কফি হলে মন্দ হত না
আমি বললাম, বিস্কুট কোনটা নিবে—ব্রিটানিয়া নাকি পার্লে-জি!
তুমি বললে, অভিমানগুলো কেমন বেগুনি রঙের
আমি বললাম ঠিক আছে, তবে নীল টাও তো মন্দ নয়।
তুমি বললে, শহরটা তোমার
আমি বললাম, আমাকেও একটু থাকতে দিও।
তুমি বললে, বেঁচে থাকো
আমি বললাম, সাথে থেকো।
তুমি বললে, বলো
আমি বললাম, শুনো।
তুমি বললে, পৃথিবীর সব রাস্তাগুলো কেমন জানি এদিকে-ওদিকে চলে যাচ্ছে
আমি বললাম, প্রতিটি রাস্তায় একটা করে নিজেদের কুঁড়েঘর বানাতে হবে এই আর কি!
তুমি বললে, প্রতিটা রাত যদি জোছনা হত
আমি বললাম, চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌঁড়ে বেড়াবো।
তুমি বললে, হারিয়ে যাবে
আমি বললাম, চলো পালাই।
তুমি বললে, মেঘ আনতে
আমি বললাম, এক বন্ধুর অনুরোধে বুকভর্তি তুষার আনার ইচ্ছে আছে—
ঠিক তার নিচে মেঘের সাথে না হয় একটি রক্তিম রডোডেনড্রন ফুলও আনবো।
তুমি বললে, ফিরে আসো
আমি বললাম, আসব-ই।
তুমি বললে, পুরো পৃথিবী ঘুরে আসো—
সেই বেরোলেম,
নদী-কুয়াশা-হ্রদ-টিলা-পাহাড়-সমুদ্র-ঝর্ণা করতে করতে
এবার তুষার পাহাড় দেখে ফিরলেম...
এবার কেন জানি—তুমি কিছুই বললে না।
ইয়ুমথাম ভ্যালীর মতো চারপাশটা ছেয়ে দিলে নিস্তব্ধতায়,
শীতলতায়—
আর আমি, রয়ে গেলাম আরেকটি অপেক্ষায়!
কাকতালীয়
আমাকে মনে পড়ে?
কখনও খুব বৃষ্টির দিনে ইচ্ছে করে ভিজতে—
কখনো চোখ বুজলে হুট করে আমায় দেখো না?
দেখো না বুঝি!
এই যে ভীষণ সন্ধ্যে বেলায় আঁকিবুঁকি করে
আকাশটাকে লালচে করে রাখলাম
তোমার জন্য!
অথচ তুমি বেছে নিলে গালিচা,
লাল গালিচা—চকচকে! ঝকঝকে।
আচ্ছা খুব মন খারাপের বিকেলে
বাতাস বওয়া মেঘলা আকাশ
কিংবা ইনসমনিয়ার মধ্যিরাতে—
তোর মনে আসে না আমাকে?
আমার ত দিব্যি মনে হয়—
ইচ্ছেও হয়—কাকতালীয় ভাবে,
যদি তোর চোখে পড়ত চোখ
—সে যেভাবেই হোক।
এফপি/এমআই