অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হয়েছে আহমেদ মেরাজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বিচ্ছেদ যন্ত্রণার কোনো উদযাপন হয় না’। কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ করেছেন আশরাফুল আরেফিন সিয়াম। প্রকাশ করেছে- নির্বান প্রকাশ।
বিচ্ছেদ—শুধু প্রেম-বিরহের গল্প নয়, এটি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য সত্য। কবি আহমেদ মেরাজ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বিচ্ছেদ যন্ত্রণার কোনো উদযাপন হয় না’-তে এই চিরন্তন সত্যকেই তুলে ধরেছেন গভীর সংবেদনশীলতা ও সাবলীল ভাষায়।
আমরা অনেকেই মনে করি, বিচ্ছেদ মানেই প্রেমের ব্যথা। কিন্তু মেরাজ তার কবিতায় দেখিয়েছেন, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কেবল প্রেমের সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি পরিবার, বন্ধুত্ব, স্বপ্ন—জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। এই কষ্ট কখনো উদযাপিত হয় না, কারো সঙ্গে ভাগ করাও যায় না। এর জন্য নেই কোনো ডাক্তার, নেই কোনো ওষুধ। কাছের মানুষকে বোঝানোর ভাষাও অনেক সময় ফুরিয়ে যায়। এটি একান্তই নিজের, এক নিঃসঙ্গ অভিজ্ঞতা। এই কষ্ট কখনো মানুষকে গুঁড়িয়ে দেয়, কখনো ঠেলে দেয় এক ভয়ংকর শূন্যতার দিকে।
তবে কবির বিশ্বাস—যাদের মনোজগতে এমন শূন্যতা কাজ করে, তাদের জন্য এই কাব্যগ্রন্থ হতে পারে একটুখানি প্রশান্তির আশ্রয়। শব্দের গভীরতায় তারা হয়তো খুঁজে পাবেন নিরাময়ের এক নীরব প্রদীপ।
সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে আহমেদ মেরাজ মূলত গল্পকার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাই তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ যে একটি কাব্যগ্রন্থ, তা অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ আমরা কেউ জানি না! জীবন কখন, কাকে, কোথায় নিয়ে চলে যায়—তা সত্যিই অনিশ্চিত।
বই প্রকাশের অনুভূতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বপ্নপূরণের আসলে কোনো ভাষা নেই, কোনো নির্দিষ্ট শব্দও নেই। প্রথম বই সবসময় এক অদ্ভুত স্বপ্নের মতো। আমার প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি ভাষাহীন এক বিস্ময়ের মতো, যেখানে আমি নিজেই কিছুটা অভিভূত। জীবনে যখন বিস্মিত হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন ‘বিচ্ছেদের যন্ত্রণার কোনো উদযাপন হয় না’ প্রতিদিন আমার কাছে এক নতুন বিস্ময় হয়ে ধরা দিল।
বিচ্ছেদ, শূন্যতা আর আত্মঅনুসন্ধানের এই কাব্যগ্রন্থ পাঠকের হৃদয়ে এক গভীর স্পর্শ রেখে যাবে বলেই আশা করেন কবি আহমেদ মেরাজ।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫—এর পানকৌড়ি প্রকাশনের ১১৬ নম্বর স্টলে।
এফপি/এমআই