কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আবারও হামলার শিকার হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই ওরফে কানু। কয়েক মাস আগে গলায় জুতার মালা পরিয়ে তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এবার তাঁর বাড়িতে গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের বাড়িতে হামলা হয়। হামলার সময় তিনি, তাঁর স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিরা ভেতরে ছিলেন। হামলাকারীরা গেট ও দরজা-জানালা ভাঙচুর করলেও ঘরে প্রবেশ করতে পারেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
আবদুল হাইয়ের ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জানান, তিন মাস আগে তাঁর বাবাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা হলেও আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা না তোলায় প্রতিশোধ নিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
হামলাকারীদের মধ্যে প্রায় ৩০-৩৫ জন ছিল বলে জানান গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন আগের ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল হাশেম মজুমদার, সালাউদ্দিন, আতিক, রাসেল, পেয়ার আহমেদ, আবদুল কাইয়ুম ও আরিফুর রহমান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্বৃত্তদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মুক্তিযোদ্ধার নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর আবদুল হাইকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় এখনো মূল অভিযুক্তরা ধরা না পড়লেও, তাঁদের কেউ কেউ জামিনে রয়েছে, কেউবা পলাতক। তবে পরিবারের দাবি, সুষ্ঠু বিচার না হলে হামলা ও হয়রানি বন্ধ হবে না।
এফপি/রাজ